সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুলকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র হালিমুল হক মিরুকে সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে হাজির করা হবে। সোমবার সকালে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (এসপি) মিরাজ উদ্দিন আহমেদ একথা জানান।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, মিরুকে কোন আদালতে তোলা হবে তা এখনও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তবে মামলা অনুযায়ী, তাকে শাজাদপুর আদালতে সোপর্দ করার কথা। কিন্তু নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে জজ আদালতের বিচারকদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ আলোচনা করা হচ্ছে। তাকে সিরাজগঞ্জ আদালতে তোলা হলে ঝুঁকির সম্ভাবনা কম। সে কারণে বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনা চলছে।
রোববার রাতে রাজধানীর শ্যামলী এলাকা থেকে মিরুকে গ্রেফতারের পর রাত ২টার দিকে তাকে সিরাজগঞ্জে নেওয়া হয়। বর্তমানে মিরু সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আছেন। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। নিরাপত্তার কারণে রাতে তাকে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় রাখা হয়। শুক্রবার দুপুর থেকেই তিনি নিজের ব্যক্তিগত সব মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে ছিলেন। এদিকে সাংবাদিক শিমুল হত্যায় যুক্ত থাকার কারণে এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকেও মিরুকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শাহজাদপুরের পৌর মেয়র হালিমুল হকের ছোট ভাই পিন্টু পৌর শহরের কালীবাড়ি মোড়ে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কান্দাপাড়া মহল্লার বাসিন্দা বিজয় মাহমুদকে (১৮) বেদম মারধর করেন। বিজয়কে মারধরের খবর ছড়িয়ে পড়লে তার সমর্থনে মহল্লার লোকজন ও আওয়ামী লীগের একাংশ এবং কলেজের ছাত্ররা এক জোট হয়ে বেলা তিনটার দিকে মেয়রের বাড়িতে হামলা চালায়।
এতে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় গুলি ও বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসময় সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে যাওয়া সাংবাদিক আবদুল হাকিম মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। শুক্রবার ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত সাংবাদিকের স্ত্রী নুরুন নাহার বেগম শুক্রবার শাহজাদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে মেয়র হালিমুল হক, তার দুই ভাইসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে মেয়র মিরুসহ ৭জনকে আটক করা হয়েছে।