সেবিকা দেবনাথ :: আজ ২ নভেম্বর সকাল ১১ টায় বাসা থেকে (গোপীবাগ) অফিসে আসার জন্য বের হইছি। একটু এগিয়ে যেতেই শুনলাম হরতাল বিরোধী শ্লোগান। পেছনে তাকাতেই দেখি হরতালের বিরোধীতা করে ব্যানার ছাড়া মাঝারি আকারে একটা মিছিল আসছে। শ্লোগান শুনে বুঝলাম আওয়ামী লীগের কর্মী ওরা। কিছু দূর যেতেই শুনি মিছিল থেকে শ্লোগান হচ্ছে ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই। রাজাকারের ফাঁসি চাই। কাদের মোল্লার ফাঁসি চাই’। কয় কি হেরা??? কাদের মোল্লার আবার ফাঁসি??? হাসমু না কাঁদমু বুঝলাম না।
২/ ইত্তেফাক মোড়ের কাছাকাছি এসে শুনলাম কোট-টাই পড়া এক ভদ্রলোক সিগেরেট ফুকতে ফুকতে আরেকজনকে বলছেন,‘ভাই, আজকে কার হরতাল? সরকার হরতাল দিছে নাকি’? কয় কি বেটায়??? লোকটা কি চাঁন্দের দেশ থেইকা আসছে নাকি?
৩/ বাবার হারিয়ে যাওয়া রবি’র সীম তুলতে গিয়েছিলাম পল্টনের রবির কাস্টমার কেয়ার অফিসে। পেছনের সোফায় খুব অন্তরঙ্গভাবে বসেছিল একজোড়া কপোত কপোতি। সেখানকার লোকজন বোধ হয় বিষয়টি অনেকক্ষণ ধরে খেয়াল করছিলেন। একজন এসে বললেন, ‘এক্সকিউজ মি, আপনাদের টোকেন নাম্বার কত?’ অপ্রস্তুত হয়ে তারা একজন আরেকজনের বাহু থেকে ছিটকে পড়লেন।
ছেলেটা বললো, ‘মানে’? লোকটি বললো, ‘আমি জানতে চাইছি আপনারা কেন এখানে এসেছেন? সীম তুলবেন? নাকি অন্য কোন সমস্যা? টোকেন নিয়েছেন কি না?’ ছেলেটি আমতা আমতা করে বললো, ‘সীম কিনবো’। লোকটি বললো, ‘ টোকেন নিয়েছেন? ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এনেছেন?’ ছেলেটি উত্তর দিলো, ‘না’। লোকটি বললো, ‘এসবতো লাগবে। এগুলো নিয়ে আসুন’। কপোত কপোতি মাথা নিচু করে বেরিয়ে গেলেন। মনে হলো, ওরা আসলে সীম কিনতে না কিছুটা সময় কাটাতে ওখানে এসেছিল। পোলাপান আর জায়গা খুঁইজা পায় না………….
লেখক: সাংবাদিক, দৈনিক সংবাদ।