হানিফস্টাফ রিপোর্টার :: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগে মনোনয়ন বানিজ্যের সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগে মনোনয়ন বানিজ্যের কোন শব্দ নেই। অন্য দলে আছে কিনা জানি না। শুধু অনুদান দিয়ে রাজনীতি করার দিন শেষ। রাজনীতি এখন ব্যয়বহুল। তাই রাজনীতিবিদদের এখন রাজনীতির সঙ্গে ব্যবসাও করতে হবে। বৈধভাবে আয় করতে হবে। এরপর জনগণকে সাহায্যও করতে হবে।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ’ আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের পরিচালক ড. আব্দুল আলীম।

ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের পরিচালনা কমিটির সদস্য হারুন অর রশিদের পরিচালনায় গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম মুহম্মদ কাদের, টিআইবির নির্বাহী পরিচাক ড. ইফতেখারুজ্জামান, ডেমোক্রেসি ওয়াচের নির্বাহী পরিচালক তালেয়া রেহমান, বাংলাদেশ মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদ-বামাসপ এর প্রেসিডেন্ট এএইচএম নোমান, প্রফেসর ড. আল মাসুদ হাসানুজ্জামান, গণমাধ্যম কর্মী মিরাজ মিজু, এনজিও কর্মী আব্দুল আউয়াল, দিলিপ কুমরি সরকার, রকিবুল হক প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে হানিফ আরো বলেন, রাজনীতি হচ্ছে রাজারনীতি। কংগ্রেস মুসলিম লীগের সময় বিত্তবানেরা রাজনীতি করতেন। তাই রাজনীতিবিদদের শুধু রাজনীতি করে ঘুরে বেড়ালেই চলবে না।

দেশ ও গণতন্ত্রের উন্নয়নে জাতীয় ঐক্যমতে ওপর গুরুত্বারোপ করে ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বলেন, “জাতীয় ঐক্যমত ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। অনেক উন্নয়নমূলক কাজও জাতীয় ঐক্যমতের অভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। বিগত সময় নির্বাচন কমিশন গঠনের সময় ঐক্যমত জন্য আমরা অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। যার দরুণ আমাদের প্রথম বারের মতো সার্চ কমিটি করে নির্বাচন কমিমন গঠন করার পরেও অনেকে এটা নিযে প্রশ্ন তোলার সুযোগ পেয়েছে।

হানিফ বলেন, দলের মধ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে দলে গণতন্ত্র থাকতে হবে। দলে গণতন্ত্র চর্চার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অন্য যেকোনো দলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। আমাদের দলের যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়।

নির্বাচন কমিশনের প্রার্থীদের হলফনামা প্রকাশেন পক্ষ নিয়ে হানিফ বলেন, নির্বাচন কমিশনের অবশ্যই প্রার্থীদের হলফনামা প্রকাশ করা উচিত। যদিও আমার হলফনামা নিয়ে বিভ্রান্তি হয়েছিল। তবুও আমরা বলেছিলাম প্রার্থীদের হলফনামা প্রকাশ করতে। কিন্তু কেন নির্বাচন কমিশন হলফনামা প্রকাশ করে না সেটা কমিশনকে জিজ্ঞেস করুন।

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here