ডেস্ক নিউজ :: পুরো বিশ্ব জুড়ে কোরোনা ভাইরাস আতঙ্ক। এখন পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী ফ্লোরা বলেন, খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। এমনকি হাসপাতালেও যাবেন না। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৬২০ জনের। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়োরেন্টিনে ৪৬ জন।

এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার থেকে মাঠ পর্যায়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। ২৬ মার্চ সরকারি ছুটি, এর সঙ্গে ২৭-২৮ তারিখ সাপ্তাহিক ছুটি রয়েছে। এর সঙ্গে ২৯ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হচ্ছে। ৩-৪ এপ্রিল আবার সাপ্তাহিক ছুটি রয়েছে। তবে ওষুধের দোকান, কাঁচাবাজার সব খোলা থাকবে।

বর্তমানে কোরোনা সংক্রমণ রুখতে আমরা দুটি শব্দ খুব বেশী শুনছি। প্রথমটি কোয়ারেন্টাইন এবং দ্বিতীয়ত আইসোলেশন।তবে অনেকেই এই দুটি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য জানেন না।

কোয়ারেন্টাইন

কোনো সংক্রামক রোগ ধরা পড়লে সেই ব্যাক্তিকে পৃথক করে রাখাই কোয়ারেন্টাইন এর মূল লক্ষ্য। কোনো ব্যাক্তির শরীরে সেই সংক্রামক রোগ এর বিজানু আছে কিনা সেটা পর্যবেক্ষন করার জন্য এবং সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য ব্যাক্তিকে পৃথক ভাবে রাখা হয়। এই সময় ব্যাক্তিকে হাসপাতালে অন্যান্য রুগীদের থেকেও আলাদা রাখা হয়। তখন তার স্থান হয় কোয়ারেন্টাইন পয়েন্ট। কারণ হাসপাতালে অন্যান্য রুগীদের সাথে থাকলে অন্যান্যদের হতে পারে এই সংক্রমণ।

বর্তমানে কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইন এর বিষয়টি মানুষের সামনে আসে। এক্ষেত্রে ভাইরাস সংক্রমণের পর উপসর্গ দেখা দিতে বেশ অনেক সময় লাগে। উপসর্গ ছাড়াই এই ভাইরাস শরীরে বাসা বেঁধে থাকতে পারে। এই ভাইরাস সংক্রমণ শরীরে ঘটেছে নাকি তা দেখার জন্য এই ব্যবস্থা। এই পরিস্থিতিতে ওষুধ ছাড়াই ১৪ দিন ব্যাক্তিকে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নিয়মাবলী মেনে পর্যবেক্ষন এবং পরীক্ষা করা হয়। কোনো লোক এমনকি বাড়ির লোকেরাও এই পরিস্থিতিতে কয়ারেন্টাইন এ থাকা ব্যাক্তির সাথে দেখা করতে পারবে না।

হোম কোয়ারেন্টাইন

কোয়ারেন্টাইন এর সব নিয়ম মেনে কোনও ব্যক্তি যখন নিজেকে নিজের বাড়িতেই আলাদা করে রাখেন তখন তাকে হোম কোয়ারেন্টাইন বলে। কোনও আক্রান্ত দেশ ঘুরে এলে বা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে সেই ব্যাক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয় পর্যবেক্ষণ করার জন্য।

এক্ষেত্রে ন্যূনতম ১৪ দিন ধরে তাকে আলাদা ঘরে রাখা হয়। কোভিড-১৯ তার শরীরে বাসা বেঁধেছে কি না তা বুঝে নিতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এক্ষেত্রেও কেবলমাত্র স্বাস্থ্যবিধি ছাড়া কোনওরকম ওষুধ দেওয়া হয় না এবং কাউকে সেই ব্যক্তির কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয় না।

আইসোলেশন

কোনো ব্যাক্তির যদি সংক্রমণ ব্যাধি নিশ্চিতভাবে ধরা পড়ে, অর্থাৎ টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ আসে সেক্ষেত্রে সেই ব্যাক্তিকে সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে রাখা হয়। হাসপাতালেই ১৪ দিন চিকিৎসকদের অধীনে পর্যবেক্ষণে তাকে থাকতে হবে। বাইরের লোক হোক বা পরিবারের কোনো সদস্য রোগীর সাথে কেউই দেখা করতে পারবেন না।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here