সোহানুর রহমান, কেনিয়ার নাইরোবি থেকে :: নাইরোবিতে আইসিপিডি+২৫ সম্মেলনে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক বলেছেন, সামাজিক উন্নয়ন ও জনসংখ্যার সুফল পেতে হলে আইসিপিডির কর্মসূচিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। তরুণদের অংশগ্রহণ ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার বির্ণিমান ছাড়া আইসিপিডির লক্ষ্যমাত্রা অর্জণ করা সম্ভব হবেনা।
১২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুরে কেনিয়া আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সাউথ-সাউথ ও ত্রিমাত্রিক অংশীদারিত্ব এবং আইসিপিডি অঙ্গীকার বিষয়ক এক প্যানেল আলোচনার সঞ্চলক হিসেবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
প্যানেলে আলোচক ছিলেন চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. ইয়ু ইয়ুজন, গাম্বিয়ার নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ফাতায়ু কিনাহ, দক্ষিণ আফ্রিকার লিন্ডাওয়ে জুলু, ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওসালাদো ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ড. নিসিয়া ত্রিনদাদে লিমা, আইপিপিএফের ডিরেক্টর জেনারেল ড. আলভারো বারমেজো প্রমুখ।
অপর এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ১৯৯৪ সালে কায়রোতে অনুষ্ঠিত জনসংখ্যা উন্নয়ন সম্মেলন (আইসিপিডি)’র কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দৃঢভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, পরিবার পরিকল্পনা ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে নানা কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি নারীর প্রতি সবধরনের সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ বন্ধে সরকার পুর্ন অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমে পুরুষদের ভালোভাবে যুক্ত করার ঘোষণা দেন তিনি। বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে জনসংখ্যার সুফল কাজে লাগাতে সমন্বিত অর্থনীতির দিকে এগুবে বাংলাদেশ। এজন্য তারুণ্যের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকার আরো কাজ করবে। অপূরনীয় পরিবার পরিকল্পনা সুবিধা জণগনের দোড়গোড়ায় পৌছে দিতে সরকার অরো উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
অঙ্গীকার বির্ণিমাণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আফম রুহুল হক, স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রণালয়ের সচিব ইউসুফ হারুন, ব্রাক ও পিপিআরসির চেয়ারম্যন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল বাংলাদেশের দেশীয় পরিচালক আশা টোরকেলসন প্রমুখ।