ইউনাইটেড নিউজ ডেস্ক:: ভোজন রসিক বাঙালি। খেতে কে না ভালোবাসে? কিন্তু খাওয়ার পর যদি তা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তখনই বা কার ভালো লাগে? অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেননি এমন কাউকে পাওয়া যাবে না। কেউ প্রায়ই ভোগেন, কেউ ভোগেন মাঝেমধ্যে। বিশেষ করে মশলাদার খাবার খেলে এমন হয়েই থাকে।

তবে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্ত থাকা যায়। জেনে নিন তেমনই কয়েকটি ঘরোয়া উপায়।

১) অ্যাসিডিটি হলে অনেকেই কোল্ড ড্রিঙ্কস খেয়ে থাকেন। ভাবেন, কোল্ড ড্রিঙ্কস হজমে সাহায্য করবে। এটা কিন্ত মোটেই সঠিক ধারণা নয়। এমনকি কফিও এই সময় এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ। বরং হাল্কা করে দুধ-চিনি ছাড়া হার্বাল চা পান করা যেতে পারে।

২) কিছুক্ষণ পরপর গরম পানি খেলে আরাম পাওয়া যাবে।

৩) ঘন ঘন অ্যাসিডিটি হওয়ার প্রবণতা থাকলে প্রতিদিন কলা আর তরমুজ খাওয়া ভালো। তাতে অ্যাসিডিটি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে শসাও খেতে পারেন।

৪) ডাবের পানি অ্যাসিডিটি সারানোর ক্ষমতা রাখে। হঠাৎ অ্যাসিডিটি হয়ে গেলে এক গ্লাস ডাবের পানি বুকে জ্বালাপোড়া ভাব দূর করতে সাহায্য করে।

৫) প্রতিদিন নিয়ম করে এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ খেলেও এই অসুবিধা অনেকটা কমে। তবে দুগ্ধজাত খাবার যাদের সহ্য হয় না (Lactose Intolerance থাকলে), তারা এই উপায় এড়িয়ে যেতে পারেন।

৬) অ্যাসিডিটির হাত থেকে বাঁচতে হলে বদল আনতে হবে খাওয়াদাওয়ার নিয়মেও। বিশেষ করে রাতের খাবার খেতে হবে ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে।

৭) অতিরিক্ত মদ্যপান এবং ধূমপান অ্যাসিডিটির আশঙ্কা বাড়ায়। ফলে দুই অভ্যাসই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

৮) তেল-চর্বি যুক্ত খাবার অ্যাসিডিটির অন্যতম প্রধান কারণ। এ ধরণের খাবার যত এড়ানো যায় সামগ্রিকভাবে তত ভালো।

অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে বাঁচার মোক্ষম উপায় ঠিক সময়ে খাওয়া দাওয়া করা। খাদ্যাভ্যাসে ফলমূল রাখা জরুরি। আর মাছ-মাংস যতই প্রিয় খাবার হোক, খেতে হবে নানা ধরনের শাক-সব্জিও।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here