ডেস্ক রিপোর্ট:: করোনা নিয়ন্ত্রণে দেশের অন্যান্য বিভাগের ন্যায় চট্টগ্রামেও চলছে সরকারের জারি করা লকডাউন। এ সময়ে পরিবহন বন্ধ রয়েছে। রোগীদের হাসপাতালে যেতে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
তবে রোগীদের এ দুর্ভোগে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’। লকডাউনে যেখানে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়েও গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না, সেখানে ছাত্রলীগ বিনামূল্যেই রোগীদের পৌঁছে দিচ্ছে হাসপাতালে। মানবিক এ উদ্যোগ ভূয়সী প্রশংসা পাচ্ছে চট্টগ্রাম নগরবাসীর।
‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ কার্যক্রমের তত্ত্বাবধায়ক বায়েজিদ থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সুলতান মাহমুদ ফয়সাল এ বিষয়ে বলেন, লকডাউনে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ আছে। তাই অসুস্থ রোগী নিয়ে যাতে হাসপাতালে যেতে কষ্ট পোহাতে না হয় সেজন্য আমরা অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করেছি। এছাড়াও হাসপাতাল থেকে মরদেহ পরিবহনের সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ১ জুলাই থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যতদিন লকডাউন থাকবে ততদিন, এ সেবা চালু থাকবে। চট্টগ্রাম নগরের মধ্যে আমাদের সেবা সীমাবদ্ধ। পাঁচটি নম্বর দেওয়া আছে। কেউ আমাদের নম্বরে কল করলে আমরা বাসা থেকে রোগী নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দিই। এ জন্য কাউকে কোনো টাকা দিতে হয় না।
তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত লকডাউনে আমাদের সেবা পেয়েছেন ১৫ জন। রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য তিনটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। চব্বিশ ঘণ্টা চট্টগ্রাম নগরের যে কোনো রোগী এ সেবা নিতে পারবেন। ০১৮১৯-৮৮৬৩৬৬, ০১৮১৯-৬১২১৭৭, ০১৮২৪-৯৩৪৩৪৬, ০১৮১১-৬৫১৮২৭ ও ০১৮২৫-৩৫৯৩৯৫ নম্বরে কল দিয়ে এই সেবা নেওয়া যাবে।
হ্যালো ছাত্রলীগের সেবা পেয়েছেন হামজারবাগ এলাকায় রুবেল নামের একজন। তিনি বলেন, দুদিন আগে হঠাৎ করে ভোর বেলা আমার বড় ভাইয়ের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। পরে হ্যালো ছাত্রলীগে কল করি। তারা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এসে আমাদেরকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছে।
এর আগে, গত ২০ এপ্রিল থেকে এক মাস এর বেশি সময় ধরে এ সেবা চালু ছিল। সে সময় দুটি অ্যাম্বুলেন্স রোগী পরিবহনে ও একটি অ্যাম্বুলেন্স বিনামূল্যে মরদেহ পরিবহনে নিয়োজিত ছিল। তখন সর্বমোট ৪৩ জন রোগী এ সেবা পেয়েছিলেন। পরে এ সেবা কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল। ১ জুলাই থেকে লকডাউন চালু হলে এ সেবা আবারও চালু হয়েছে।
ছাত্রলীগের নেতা সুলতান বলেন, লকডাউনের ঘোষণা আসায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নির্দেশে আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে আবার এ কার্যক্রম শুরু করেছি।