মাহমুদা হক মনিরা :: পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম বলেছেন, যদিও করোনা অত্যন্ত সীমিত বাংলাদেশে এখনও, অনেক দেশের চেয়ে আমরা ভালো অবস্থানে আছি এবং গত জুলাই থেকে অর্থনীতি বেশ ঘুড়েও দাঁড়িয়েছে। এই ঘুরে দাঁড়ানো কালে বড় চ্যালেঞ্জ হলো কোভিটকে নিবৃত করা এবং এই করোনা বিষয়ক যে রোগ-ব্যাধি আছে সেগুলো নিবারণ করা। সেক্ষেত্রে হাত ধোয়া কর্মসূচি, পরিচ্ছন্নতা এবং পয়প্রণালী এসব বিষয়ে আমাদের প্রত্যেকের সতর্ক হওয়া উচিত। নিজেরা সচেতন হবো এবং অন্যকে উৎসাহিত করবো। এটাই হওয়া উচিত আমাদের প্রধান বার্তা।
ইউনাইটেড নিউজের সাথে সম্প্রতি তার কার্যালয়ে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য ও শিক্ষা একত্রে দেখতে হবে। আমাদের নিজেদের আচরণকে স্বাস্থ্য অনুযায়ী করা এবং সেটার জন্য পরিচ্ছন্নতা ও ঘন ঘন হাত ধোয়া অপরিহার্য। একইসাথে আমাদের পয়প্রনালী পরিচ্ছন্ন হওয়া প্রয়োজন। আমাদের খাদ্য, রান্না প্রক্রিয়া, হাত ধোয়া সর্বত্রই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং নিরাপদ পানি ব্যবহার করা উচিত। সেক্ষেত্রে আমরা করোনার যে মহামারী তা কাটিয়ে উঠতে পারবো।‘
একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ড. শামসুল আলম বলেন, ‘উন্নয়ন হোক মানুষ কেন্দ্রিক। মানুষের জন্যই এই সভ্যতা, মানুষের জন্যই এই উন্নতি। কাজেই মানুষকেই আমাদের গড়ে তুলতে হবে সভ্য-সুশিক্ষিত এবং প্রগতিশীল মানুষ হিসেবে। আর অক্টোবর মাসটা আমাদের জন্য বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ন কারণ এটা হলো আমাদের পরিচ্ছন্নতার ব্যাপার যেটার উপর আমরা বেশি জোর দেই। সেই মাস হলো স্যানিটেশন মাস, আমরা উদযাপন করছি। যেখানে হাত ধোয়া, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন সেটা ব্যক্তি স্বাস্থ্যের জন্য হোক আর সমাজের ভালোর জন্যই হোক।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই কোভিটকালকে নিবারণের প্রধান উৎস হলো মাস্ক পড়া আর ঘন ঘন হাত ধোয়া সেটা আমরা জানি। হাতের মাধ্যমে মুখ এবং নাকের মাধ্যমে এই মহামারী জীবাণু আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। সে ক্ষেত্রে আমাদের হাত ধোয়ার গুরুত্ব এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার গুরুত্ব অপরিসীম। অবশ্যই আগে মানুষকে বাঁচাতে হবে। আর স্বাস্থ্যসুরক্ষা করলেই সে মানবসম্পদ হতে পারবে।
ডরপ ও ইউনাইটেড নিউজ স্যানিটেশন ক্যাম্পেইনের যে উদ্দ্যোগ নিয়েছে তা অত্যন্ত মানুষ কেন্দ্রীক ও উন্নয়ণ কেন্দ্রীক এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তারা একটি জাতীয় দায়িত্ব পালন করছে।’