ভাতে-মাছে বাঙ্গালী, এই প্রবাদবাক্য এখন গ্রামবাংলায় নেই। ঘরে ভাত থাকলেও পুকুরে কিংবা খাল-বিল, নদী-নালায় পর্যপ্ত মাছ আর নেই। বিশেষ করে দেশীয় জাতীয় মাছের আকালের সুযোগে বিদেশী মাছ বর্তমান বাজার দখলে নিয়ে আমিষের চাহিদা পুরণ করছে। এর পরেও বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশের চাহিদা না কমে বরং দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে।
প্রজনন মৌসুমে সরকার মা ইলিশ মাছ বা ঝাটকা মাছ ধরা নিষেধ করলেও এক শ্রেণীর চোরাই মৎস ব্যবসায়ীরা ঝাটকা মাছ ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চালান করে আসছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে , শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা সদর নয়াবিল, নন্নী বারমারী বাজারসহ প্রত্যান- অঞ্চলের হাটবাজার গুলোতে অবাধে ঝাটকা ইলিশ মাছ বিক্রি করছে এক শ্রেনীর অসাধু মাছ ব্যবসায়ীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী জানান, এ ঝাটকা মাছ শেরপুর শহরের বাসষ্ট্যান্ড এলাকার মাছের আরত থেকে পাইকারী ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২শ টাকা মন দরে কিনে তারা প্রত্যান- অঞ্চলের হাটবাজার গুলোতে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে তারা বিক্রি করছেন।
এতে কোন রকম অসুবিধা হয়না বা কেউ তাদের বাঁধাও দেন না। আর পাইকারী বিক্রেতারা চট্রগ্রামের সমুদ্রাঞ্চল বিশেষ করে উপকুলীয় এলাকা থেকে বস-াবন্দি করে ট্রাকযোগে এসব ঝাটকা মাছ কিনে আনেন। বড় ইলিশ মাছ প্রতি কেজি ৪ শ টাকা দরেও পাওয়া যায় না। কিন’ নালিতাবাড়ীতে ঝাটকা ইলিশ মাছের যেন অভাব নেই।
দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্ব বাজারে জাতীয় মাছ ইলিশের চাহিদা দিন দিন বাড়লেও এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীরা ঝাটকা মাছ নিধন করে পুর্ণাঙ্গ ইলিশে পরিনত হতে দিচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা মৎস কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুলতানা লায়লা তাসনীম জানান, নিষিদ্ধ ঝাটকা মাছ বিক্রির বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। দেশের জাতীয় মাছ ইলিশ সংরক্ষন ও ঝাটকা ইলিশ মাছ বিক্রি বন্ধে আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার চিন-া-ভাবনা করছি।
শাহরিয়ার মিল্টন, শেরপুর