বাংলাদেশ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ক্ষেত্রে করা আইনে ১৬ বছরের নিছে (নাবালিকার) ক্ষেত্রে সেচ্ছায় হোক কিংবা ভীতি প্রদর্শন, প্রতারণামূলকভাবে কিংবা অসম্মতিতে (জোরপূর্বক) শারিরীক সম্পর্ককে ধর্ষণ বলে বিবোচনা করা হয়।
কিন্তু ষোল (১৬) বছরের অধিক বয়সী কেউ যদি সম্মতি দিয়ে ‘বিনা বিবাহে’ দৈহিক সম্পর্কে যায় সেক্ষেত্রে সেটা ধর্ষণ বলে বিবেচনা হচ্ছে না এবং আইনগতভাবে কোন অপরাধও হচ্ছে না।
এদিকে সরকার কতৃক মেয়েদের বিয়ের নির্ধারিত বয়স হলো ১৮ বছর।তাহলে ১৬ বছর বয়সের মেয়েগুলা একদিকে বিয়ে করতে পারছে না আরেকদিকে সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক বৈধ (ধর্মে অবৈধ) করা আছে। তাহলে তারা যেকোনো সময় শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারে।স্বাভাবিক বিষয়।
এখন যদি এই শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণে তাদের কেউ মারা যায় তাহলে (স্বাভাবিক ভাবে মেয়ে) ছেলে ধর্ষণ মামলায় আসামি হবে নাহ।
তবে মেয়ের মৃত্যুর জন্যে তাকে অন্য নির্দিষ্ট মামলা দেওয়া যাবে।এখানে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডও হবে নাহ।
মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ হলেও ১৬ বছরে সেচ্ছায় শারীরিক সম্পর্ক বৈধ হওয়ার নিয়ম কি আসলেই উপযুক্ত ছিলো এটাই এখন ভাববার বিষয়।
১৬ বছর বয়সের একটা মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হলেই তার বুদ্ধি,বিচার-বিবেচনাবোধসম্পন্ন হয়না।তার নিজের ভালোটা বুঝার ক্ষমতা হয়না।বরং এই বয়সে ছেলে মেয়েরাই বেশি আবেগপ্রবণ এবং কৌতুহলী হয়ে থাকে এবং ভুলও করে বেশি।
তাই এই আইনের ক্ষেত্রে আরো যথেষ্ট সংশোধনের বিষয় রয়েছে যাতে অবৈধ সম্পর্ক কিংবা ধর্ষণ কমানো যেতে পারে।
তাই আইন সংশোধন করে বিয়ের বয়স কমানো যেতে পারে যেখানে মেয়েদের ১৬ এবং ছেলেদের ১৮ করা যায় যেটা ১৯২৯ সালের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ২০১৪ সালে খসড়ায় পর্যালোচনা করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হইছিলো।
যদিও এখানে আবারও বিভিন্ন মানবাধিকার কর্মী,সংগঠন এর বিরুদ্ধে যাবে তবে উপযুক্ত টাই এখন ভাববার বিষয় যেটা একটা সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা এনে দিবে।
আমি তাদের বিরুদ্ধে বলব না।কিন্তু বয়স আরো কমানো যেতে পারে কিংবা ১৮ বছর বয়সের আগে শারীরিক সম্পর্ক অথবা বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ককে পুরোপুরি অবৈধ ঘোষণা করা যেতে পারে।যাতে ছেলে কিংবা মেয়ে সেই সুযোগটা না পায় এবং সমাজের এই নোংরা খেলাগুলো অনেকাংশে কমে যাবে।
সৌদি আরব ও ইয়েমেনের দিকে তাকালেও আমরা দেখতে পাই যেখানে বিয়ের জন্যে নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই। সন্তান প্রাপ্ত বয়স্ত হলেই বাবা মায়ের অনুমতিতে তারা বিবাহ করিতে পারে।
আমাদের ধর্মও বলে মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হলেই তারা বিয়ে করতে পারবে।আর ইসলামের এই আইনই পূর্বের সময় থেকেই চলে আসছে আমাদের মাঝে।এতে মেয়ে কিংবা ছেলের যে এতো বড় কোনো সমস্যা হইছে এমন ঘটনা ইসলামের ইতিহাসে তেমন নেই।
তাই সবকিছু মিলিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত যেটা দেশ ও জাতির জন্যে সুন্দর ও সহজ হবে।
আর সর্বদা বাবা মা কে তো সতর্ক হতেই হবে।মেয়ের বয়স হইছে বলেই আপনার দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়না।বরং দায়িত্ব আরো বেড়ে যায়।
সঠিক নিয়ম আর বাবা মায়ের সঠিক দায়িত্বে সন্তান সুশিক্ষিত হলে সুন্দর সমাজ,দেশ গড়ে উঠবে।
লেখক: রাশিদুল রাজ
শিক্ষার্থী, সরকারি তিতুমীর কলেজ।