খোরশেদ আলম বাবুল, শরীয়তপুর প্রতিনিধি :: অপহরণের এক দিন পর আব্দুস নুর শিশির (৮) নামে এক অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করেছে পালং মডেল থানা পুলিশ।
১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় গোসাইরহাটের কোদালপুর এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত ইউসুব, সৌরভ ও রাসেল নামে তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে পালং মডেল থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের হয়েছে। জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন।
অপহৃত আব্দুস নুর শিশির শরীয়তপুর পৌরসভার তুলাসার গ্রামের মাস্টার সাত্তার খালাসী ও সালমা আক্তার বকুল দম্পতির একমাত্র সন্তান। শিশির কালেক্টরেট কিশলয় কে.জি স্কুলের নার্সারী শ্রেণীর ছাত্র।
শিশিরের পরিবার ও পালং মডেল থানা পুলিশ জানায়, ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার স্কুল থেকে এসে বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে যায় শিশির । খেলা শেষে শিশির আর বাড়ি ফিরে আসেনি। প্রতিবেশীর বাড়ি, এলাকায় ও নিকট আত্মীয়দের বাসায় খোঁজ করে শিশিরের কোন সন্ধান পায়নি তার পরিবার। পরে ওইদিন সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে শিশিরের বাবার মোবাইল ফোনে (০১৭০৬৯১৭০৭৪) অপরিচিত নম্বরে কল করে ছেলের বিনিময়ে মুক্তিপন দাবী করে। বিষয়টি উল্লেখ করে ওই দিন রাতে অপহৃত শিশিরের পিতা পালং মডেল থানায় সাধারণ ডায়রী করে। ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার পালং থানা পুলিশ গোসাইরহাট থানা পুলিশের সহযোগিতায় কোদালপুর এলাকা থেকে ওই শিশুকে উদ্ধার করে।
অপহৃত শিশিরের বাবা মাস্টার সাত্তার খালাসী বলেন, সোমবার দুপুরে বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে শিশির নিখোঁজ হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় অপরিচিত নম্বর থেকে আমার মোবাইলে কল আসে। ওপাশ থেকে আমাকে বলে, ‘তোর ছেলেকে খুঁজে লাভ নাই? তোর ছেলে আমাদের কাছে আছে। ছেলেকে পেতে হলে টাকা লাগবে। ওরা আমার ছেলের সাথে কথা বলতে দেয়নি। আমি পুলিশকে বিষয়টি বলি। পালং মডেল থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে আমার ছেলেকে উদ্ধার করেছে। তা না হলে অপহরণকারীরা আমার ছেলেকে মেরে ফেলত। আমি অপহরণকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই’।
পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, মুক্তিপণের জন্য শিশির নামে ৮ বছরে একটি শিশুকে অপহরণ করে। সঠিক সময়ে তাকে উদ্ধার করা সম্ভব না হলে অপহরণকারীরা তাকে মেরে ফেলত। এই ঘটনায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। অপহরণের সাথে জড়িত চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।