আসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট প্রতিনিধি :: মিরাজ আহম্মেদ। বয়স ১২ বছর। শরীরে এক ধরনের ঘাঁ দেখা দিয়েছে। বর্তমানে গোটা শরীর মোটা হয়ে যাচ্ছে ও শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। টাকার অভাবে চিকিৎসাও বন্ধ। তারপর বিদ্যালয় যাওয়া ও লেখাপড়া বন্ধ করেনি সে। অজানা রোগে আক্রান্ত মিরাজ অজানা রোগে আক্রান্ত লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ১নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র মিরাজ আহম্মেদ। সে ওই উপজেলার পুর্ব সির্ন্দুনা গ্রামের দিন মুজুর আব্দুল হামিদের পুত্র।
মিরাজের মা লাইলী বেগম বলেন, ৬ বছর বয়সে মিরাজের শরীরে এক ধারণে চুলকানী উঠে। আস্তে আস্তে যা গোটা শরীরে ভরে যায়। এখন ঘাঁ’র মত হয়ে বস বের হচ্ছে। প্রথমত স্থানীয় ডাক্তার পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ লাইজু নুরনবী’র চিকিৎসা নেয়া হয়েছে। কিন্তু তাকে সম্পুর্ণ ভাবে সুস্থ্য করা সম্ভব হয়নি। এখন মিরাজের গোটা শরীর ফুলে যাচ্ছে ও শ্বাস কষ্ট দেখা দিয়েছে।
ডাক্তাররা বলেছেন, মিরাজ কি ধরনের রোগে আক্রান্ত তা বলা না গেলেও উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে তাকে সুস্থ্য করে তোলা সম্ভব। টাকার অভাবে বর্তমানে তার চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে।
মিরাজ বলেন, আমি সুস্থ্য হয়ে স্কুলে যেতে চাই। ডাক্তার বলেছে ভালো চিকিৎসা হলে আমি সুস্থ্য হবো। কিন্তু আমার বাবা-মায়ের সেই টাকা নেই। আমি কি চিকিৎসার অভাবে মারা যাবো ?
হাতীবান্ধা ১ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাপলা বেগম বলেন, মিরাজ সত্যি একজন মেধাবী ছাত্র। তার শরীরে ঘাঁ গুলো দিয়ে এক ধারণের রস বের হওয়ায় আমি তাকে আপতত বিদ্যালয় আসতে নিষেদ্ধ করে ছিলাম। কিন্তু তারপরও সে নিয়মিত বিদ্যালয় আসে। আমি ডাক্তারদের সাথে কথা বলে জেনেছি দীর্ঘ মেয়াদী উন্নত চিকিৎসা করা হলে তাকে সুস্থ্য করা সম্ভব।
হাতীবান্ধা উপজেলা সির্ন্দুনা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আমিনুর রহমান আশা বলেন, মিরাজের বাবা দিন মজুর। সে কারণে চিকিৎসার অভাবে মিরাজের অবস্থা প্রতিনিয়ত খারাপ হচ্ছে। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।