লক্ষ্মীপুরে অগ্নিদগ্ধ শাহিনুরের মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী সালাহ উদ্দিন ৩দিনের রিমান্ডে

জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে স্ত্রীর স্বীকৃতি চাইতে এসে স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে শাহিনুর আক্তারের মৃত্যুর ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি সালাহ উদ্দিনকে ৩দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক তারেক আজিজ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশ আদালতে তাকে হাজির করে ৫দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে সোমবার দুপুরে রামগতির জমিদারহাট ব্রিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সালাহ উদ্দিন লক্ষ্মীপুরে কমলনগর উপজেলার চর ফলকন গ্রামের মহর আলীর ছেলে। নিহত শাহিনুর আক্তার চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার সোনাগাজী গ্রামের জাফর আলমের মেয়ে। তিনি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন জানান, প্রধান আসামি সালাহ উদ্দিনকে গ্রেফতারের মাধ্যমে এ মামলার এজাহার নামীয় সকল আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সালাহ উদ্দিনের ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হবে। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল সকালে শাহিনুর আক্তারের বাবা জাফর আলম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে কমলনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে সালাহউদ্দিনসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়।

পরে পুলিশ চার আসামিকে গ্রেফতার করে তাদের দুইদিনের রিমান্ডে নেয়। এরা হলেন- সালাহ উদ্দিনের ভাই আবদুর রহমান, মো. আলাউদ্দিন, স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফিজ উল্লাহ ও গ্রাম পুলিশ আবু তাহের।

প্রসঙ্গত, স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়ায় লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে শাহিনুর আক্তার নামে ওই তরুণীর শরীরে আগুন দেয় তার স্বামী সালাহউদ্দিন। (২১এপ্রিল) রবিবার বিকেল ৪টার দিকে কমলনগর উপজেলার চর ফলকন ইউনিয়নের আইয়ুবনগর এলাকার একটি সয়াবিন ক্ষেতে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।

পরে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শাহিনুর আক্তার। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ ওই তরুনী সাংবাদিকদের জানিয়ে ছিলেন, মোবাইলে তার সঙ্গে সালাহ উদ্দিনের পরিচয়। পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দেড় বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় সালাহউদ্দিন প্রথম স্ত্রী সন্তানের কথা গোপন রাখেন। বিষয়টি জানতে পেরে আমি চট্টগ্রাম থেকে কমলনগরে এসে স্ত্রীর স্বীকৃতি চাইলে সালাহ উদ্দিন কেরোসিন তেল দিয়ে আমার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here