স্টাফ রিপোর্টার :: প্রতিবছরের মতো ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ নিধনরোধে আগামী ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন উপকূলে সকল প্রকার মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। এ সময় ইলিশের প্রজননক্ষেত্রের চারটি পয়েন্ট পরিবেষ্টিত সাত হাজার বর্গকিলোমিটার উপকূলীয় এলাকার সব নদনদীতে এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

চারটি পয়েন্ট হচ্ছে- মিরসরাই ও চট্টগ্রামের মায়ানি, তজুমদ্দিন ও ভোলার পশ্চিম সৈয়দ আওলিয়া, কুতুবদিয়া ও কক্সবাজারের উত্তর কুতুবদিয়া এবং কলাপাড়া ও পটুয়াখালীর লতাচাপালী পয়েন্ট। আইনানুযায়ী সারাদেশে ইলিশ মাছের আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ এবং ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকবে।

বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ৬৫ দিন মৎস্য-আহরণ বন্ধ থাকার ফল ও প্রভাব এবং ‘ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০১৯’ শীর্ষক যৌথ সেমিনার ও নাগরিকসভায় এ তথ্য জানানো হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ সভা আয়োজন করে।

প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুর সভাপতিত্বে এতে বক্তৃতা করেন এমপি আশিকুল্যা রফিক, মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মণ্ডল, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন, মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান দিলদার আহমদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদসহ বিভিন্ন মৎস্যজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী, জেলে, মৎস্য গবেষক, এনজিও, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, র‌্যাব ও বন বিভাগের প্রতিনিধিরা।

সভায়  বলা হয়, নিষেধাজ্ঞা আইন ভঙ্গ করলে আইন ভঙ্গকারীকে কমপক্ষে এক বছর থেকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে।

সভায় পৃথক পৃথক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরের পরিচালক ড. আবু হাছানাত ও ইলিশ ব্যবস্থাপনা শাখার সহকারী পরিচালক মাসুদ আরা মমি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here