৫৮ শতাংশ নারী গণপরিবহনে উঠতে পারেন নাস্টাফ রিপোর্টার :: গবেষণায় দেখা যায়, ঢাকা শহরে বসবাসকারী ৫৬ শতাংশ নারী ভালো পরিবহন ব্যবস্থা না থাকার কারণে বাইরে যেতে চান না। আবার অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে ৫৮ শতাংশ নারী গণপরিবহনে উঠতে পারেন না। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নিরাপত্তাহীনতা ও নগর উন্নয়ন পরিকল্পনায় নারীকে বাদ দিয়ে কাঠামো তৈরি করা।

আর রাজধানীর গণপরিবহন নিয়ে ৮৬ শতাংশ নারী যানজট নিয়ে হতাশ প্রকাশ করেছেন। ৭৮ দশমিক ৫ শতাংশ নারী বলেছেন বাসের সংখ্যা অপ্রতুল। আর ২২ দশমিক ৫ শতাংশ নারী বাস সহকারী/চালক/সহযাত্রীর মাধ্যমে যৌন হয়রানির শিকার হন।

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা একশনএইড বাংলাদেশের ‘নারী সংবেদনশীল নগর পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।

শনিবার (২০ মে) গুলশানে সংস্থাটির কার্যালয়ে বিশ্ব নিরাপদ নগরী দিবস উপলক্ষে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই গবেষণার প্রেক্ষাপট ও মূল বিষয় তুলে ধরেন একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির।

গবেষণায় যুক্ত ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আক্তার মাহমুদ প্রতিবেদন উত্থাপন করেন।

ফলাফল তুলে ধরে অধ্যাপক আক্তার মাহমুদ বলেন, ঢাকা পুরুষতান্ত্রিক শহর হিসেবেই গড়ে উঠেছে। ফলে নারীরা বাড়ির বাইরে যেতে চান না কিংবা কর্মক্ষেত্রে পূর্ণ ক্ষমতা প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত। এতে অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতির শিকার হন তারা।

গবেষণা প্রতিবেদন নিয়ে স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, আমাদের ফুটপাতগুলো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করতে পারিনি। নারীদের খেলাধুলার জন্য একটি জায়গাও তৈরি করিনি।

‘পথে-প্রান্তরে টয়লেট তৈরিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনে বাধ্য করতে হবে। এজন্য অবশ্যই উদ্যোগী হতে হবে সরকারকে। প্রকল্প নারীবান্ধব, শিশুবান্ধব ও প্রতিবন্ধী বান্ধব হয়েছে কিনা তা অবশ্যই পরিকল্পনা কমিশনকে দেখতে হবে। ’

রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তা, বাস স্ট্যান্ড, ফুটপাত, মার্কেট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন বয়সী ২০০ জন নারীর উপর জরিপ করে গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করেছে একশনএইড বাংলাদেশ।

প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়, যেকোনো প্রকল্প প্রণয়নের ধারণা থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন পর্যন্ত নারী সংবেদনশীল ধ্যান-ধারণার প্রতিফলন থাকতে হবে। একই কৌশল নীতির ব্যাখ্যা থাকতে হবে ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যানের ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানেও।

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here