৪২ বছরেও নির্মান হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ের শূক নদীর ব্রিজটি। ঠাকুরগাঁও রোড এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া এই নদীটি মোহাম্মদপুর ইউনিয়নকে শহরের সাথে আলাদা করে দিয়েছে। ফলে আশপাশের ১০ গ্রামের মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

সদর উপজেলার কহড়পাড়া, শ্রীকৃষ্টপুর, নারগুন, নিশ্চিন্তপুর, মোহাম্মদপুর, ফেসরাডাঙ্গী, মাতৃগাও, গিলাবাড়ি, রামপুর, হরিনারায়ণপুর এই ১০ গ্রামের সাথে শহর এবং পীরগঞ্জ ও রাণীশংকৈল উপজেলার আঞ্চলিক সড়কের যোগাযোগ উন্নয়নের জন্য ১৯৭০ সালে  শুক নদীর উপর ব্রিজ নির্মান শুরু করে এলজিইডি। নদীর দু’তীরের কংক্রিট গার্ডার নির্মান করা হলেও অজ্ঞাত কারনে নির্মান কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এর পাশে স্থানীয় ভাবে একটি বাঁেশর সাঁকো তৈরি করে বিকল্প যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছে। তাও আবার টাকার বিনিময়ে পারাপার হতে হয়। আর বর্ষায় সেই বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হওয়া যায়না। তখন চলাচল করে নৌকা। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষক ও স্কুলগামী শিশুরা। কৃষকরা ওই এলাকা থেকে তাদের উৎপাদিত পন্য সহজেই ঠাকুরগাঁও আড়তে আনতে পারেননা। তাদের প্রায় ১৫কিলোমিটার ঘুরে কৃষিপন্য ঠাকুরগাঁও আড়তে আনতে হয়। আর শিশুরা পারাপার হয় ঝুঁকির মধ্যে।

গিলাবাড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান, মিনারুল হক ও আব্দুস সোবাহান বলেন, শাক সবজিসহ অন্যান্য কৃষি পন্য ঠাকুরগাঁও আড়তে নিতে অনেক পথ ঘুড়তে হয়। এতে অনেক সময় পরিবহন খরচও বেড়ে যায়।

হরিনারায়নপুর গ্রামের বাসিন্দা দিদারুল ইসলাম বলেন, শিশুরা স্কুলে যাতায়াত করে ঝুঁকি নিয়ে। ফলে অভিভাকরা থাকেন আতঙ্কে।

ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান -ই- হাবীব ব্রিজটির গুরুত্ব তুলে দরে বলেন, ব্রিজটি নির্মান হলে এই এলাকার মানুষের হাজারো কষ্ট লাঘব হবে এবং দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পুরন হবে।

এ ব্যাপারে এলজিইডি বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী হরিকিংকর মহন্ত ব্রীজটির গুরুত্বের কথা স্বীকার করে বলেন, প্রকল্পটি প্রস্তাবায়নের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। অনুমোদন সাপেক্ষে পুন:নির্মান কাজ শুরু হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ১০ গ্রামের হাজারো মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ৪২ বছর আগের শুরু করা এ সেতুটির নির্মান কাজ  দ্রুত  শেষ করে এলাকার  যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এগিয়ে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর ।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/তানিয়া সরকার/ঠাকুরগাঁও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here