
অলংকার গুপ্তা, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি ::
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা ৪১ তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় অসাধারণ সফলতা অর্জন করেছে। বিসিএস পরীক্ষার গেজেটে এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য মোতাবেক হাবিপ্রবি থেকে প্রায় ২৬ জন শিক্ষার্থী ক্যাডারভুক্ত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষার্থীদের এমন অর্জনে খুশি বর্তমানে বিভিন্ন অনুষদে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা।
৪১ তম বিসিএস পরীক্ষার প্রকাশিত গেজেট থেকে জানা যায়, প্রশাসন ক্যাডার পেয়েছেন হাবিপ্রবির বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের শিক্ষার্থী আবু বকর সিদ্দিক ও অভিষেক। পুলিশ ক্যাডার পেয়েছেন এগ্রিকালচার এন্ড ইন্ডাট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগেরর ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাহাত। প্রাণিসম্পদ ক্যাডার হয়েছেন হাবিপ্রবির চার শিক্ষার্থী। প্রাণিসম্পদ ক্যাডার প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন আতিকুর রহমান আতিক, নাসরিন আক্তার, হুমায়ুন কবির এবং মারুফ। কৃষি ক্যাডার হয়েছেন ১৬ জন শিক্ষার্থী।
এ ক্যাডার প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন রাশিদ শাহরিয়ার রিপন, সায়েম মোহাম্মদ মুজাহিদ, কেরামত আলী, মিরা লুৎফুন নাহার, আবু ইসহাক, সিদ্ধার্থ রায়, সঞ্চিতা রায়, নাহিদ জোহান, নাহিদ হাসান রিয়াদ, তাপস কুমার ভট্টাচার্য, সুমি আক্তার, মামুনুর রশিদ মামুন, রেজাউল করিম, আহসান হাবীব, রুম্মন শাহরিয়া, আসমাউল হুসনা লিমা। এছাড়াও তথ্য ক্যাডার হয়েছেন ইইই বিভাগের ১৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী কিংসুক রায়, পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডার হয়েছেন ডিভিএম অনুষদের ১১ ব্যাচের শিক্ষার্থী হামিদুর রহমাম, শিক্ষা ক্যাডার হয়েছেন হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মহেন্দ্র রায়।
এদিকে হাবিপ্রবির এগ্রিকালচার অনুষদের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী তাপস কুমার ভট্টাচার্য ৪১ তম বিসিএসে মৃত্তিকা সম্পদ গবেষণায় বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ক্যাডার) হিসেবে সুপারিশ প্রাপ্ত হওয়ায় অনুভুতি প্রকাশ করে বলেন, “আমার কাছে মনে হয়েছে ক্যাডার বা একটা ভালো জব পেতে ফ্যামিলি সাপোর্ট, কাছের মানুষগুলোর সাপোর্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অনেক বড় ফ্যাক্ট করে। সেদিক দিয়ে আমি অনেক ভাগ্যবান আমার কাছের মানুষগুলো আমাকে অনেক সাপোর্ট দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রেন্ড নির্বাচন আরও একটা বড় ফ্যাক্ট আমার কাছে। আজকে আমি যেটুকু পেয়েছি তার জন্য আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তাদের সাথে গ্রুপ স্টাডি বা একসাথে লাইব্রেরি গিয়ে পড়া।
একটা সুস্থ স্বাভাবিক কম্পিটিশন, প্রতিযোগিতামূলক পড়াশুনা, একে অন্যকে হেল্প করা এসবাই একটি সুন্দর জব পাওয়ার জন্য অনেক প্রয়োজনীয় বলে আমি মনে করি। তাছাড়াও, নিজের প্রতি নিজের বিশ্বাস আনাটাও জরুরি। মানুষ অনেকবার হারবে। জিতবে একবারই। সেটা প্রথম বিজয়। তারপর হয়ত তাকে আর পিছন ফিরিয়ে তাকাতে হবেনা। কিন্তু এর জন্য নিন্দুককে পাশ কাটিয়ে নিজের উপর আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
সর্বোপরি, সৃষ্টিকর্তার কৃপা আর সবার আশীর্বাদ নিয়েই এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।” অন্যান্য সুপারিশ প্রাপ্তদের শিক্ষার্থীদের সাথেও যোগাযোগ করা হলে তারা সকলেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সকলের কাছে পরবর্তী জীবনের জন্য দোয়া-প্রার্থনা করেন।
উল্লেখ্য ৪০ তম বিসিএসে হাবিপ্রবি থেকে ৩৩ জন শিক্ষার্থী সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছিলেন।