১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ১৫ অক্টোবর, ১২ কার্তিক, ১০ রমজান সন্ধায় পাক হানাদার বাহিনী তাদের এদেশীয় দোষরদের সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর গ্রামের কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ নিরস্্র ৭৪ জন গ্রামবাসীকে গুলিকরে নির্মমভাবে হত্যা করে। সেই সাথে বিটঘর,বড়ইবাড়ি,পানিশ্বর ও সাখাইতি গ্রামে অগ্নিসংযোগ করে কয়েকশ বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেয়।
স্বাধীনতার ৪০ বছরের মধ্যে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ ওই ৭৪ পরিবারের কোনো সদস্যকে সরকার বা কোনো সংস’া খোঁজ খবর নেননি। এবারই প্রথম গতকাল শুক্রবার মহান স্বাধীনতার ৪০ তম বিজয় দিবসে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ওই সব শহীদ পরিবারের সদস্যদেরকে হাজির করা হয় উপজেলা সদরে। মুক্তিযোদ্ধাদের পাশপাশি তাদেরকেও দেওয়া হয় সংবর্ধনা।
সংবর্ধনায় অংশ নেওয়া বিটঘর গ্রামের বাসিন্দা মো. বকুল মিয়া (৪৭) বলেন, ওই দিন ৭৪ জনের মধ্যে আমার দুই চাচাও শহীদ হয়েছিল । ৪০ বছরের মধ্যে আমাদের পরিবারের খোঁজ খবরও নেয়নি কেউ। আজ আমরা নিজেদেরকে সম্মানিত বোধ করছি। আমজাদ হোসেন (৪৫) বলেন আমার ছোট চাচা ওই সময়ে শহীদ হলেও এখনো আমরা এর স্বীকৃতি পায়নি।
এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সাফায়াৎ মুহম্মদ শাহে দুল ইসলাম বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিটঘর গ্রামের যারা আত্নত্যাগ করেছে তাদের স্বীকৃতি স্বরূপ ওই সব পরিবারের সদস্যদেরকে সম্মান দেওয়া হয়েছে। এধরনের উদ্যোগ আগেই নেওয়া উচিত ছিল।
সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন এখন থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি ওই সব পরিবারের সদস্যদেরও সংবর্ধনা দেওয়া হবে। সেই সাথে তাদের খোঁজ খবর নেওয়া হবে।
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি