ডেস্ক রিপোর্ট:: হাসপাতালের প্রায় ৩ কোটি টাকার এমএসআর সামগ্রী আত্মসাতের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সাবেক দুই সিভিল সার্জন ও স্টোরকিপারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুদকের ঝিনাইদহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. বজলুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সংস্থাটির জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আসামিরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সাবেক স্টোর কিপার ও বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে কর্মরত মো. হাফিজ বিন ফয়সাল এবং চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. রওশন আরা বেগম ও ডা. মু. ছিদ্দিকুর রহমান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের আওতাধীন সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের জন্য এমএসআর সামগ্রী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হয়। এমএসআর সামগ্রী ক্রয়ের জন্য মূল্য বাবদ ঠিকাদার ১ কোটি ৩৭ লাখ ৯৯ হাজার ৯০০ টাকার বিল উত্তোলন করলেও ৮২ লাখ ৭৬ হাজার ৯১১ টাকার এমএসআর সামগ্রী বিতরণ না করে আত্মসাৎ করে।
একইভাবে দ্বিতীয় দফায় ৯৪ লাখ ৭৭ হাজার ৬১০ টাকার এমএসআর সামগ্রী এবং তৃতীয় দফায় ৮৮ হাজার ৮৪৩ টাকা এবং চতুর্থ দফায় ৮ লাখ ৮৮ হাজার ৪৪২ টাকার স্টক রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি ও বিতরণ না করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে আসামি মো. হাফিজ বিন ফয়সাল ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি ২ কোটি ১৫ লাখ ১২ হাজার ৮৫১ টাকার এমএসআর সামগ্রী আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে প্রথম মামলায়।
অন্যদিকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আসামি মো. হাফিজ বিন ফয়সাল ও সিভিল সার্জন ডা. রওশন আরা বেগম পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি ৩০ লাখ ৪৬ হাজার ৫৪ টাকার এমএসআর সামগ্রী আত্মসাৎ করেন। এই অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের করেছে দুদক।
আর ৪৮ লাখ ৯ হাজার ৪০২ টাকার এমএসআর সামগ্রী আত্মসাতের অভিযোগে মো. হাফিজ বিন ফয়সাল ও সাবেক সিভিল সার্জন ডা. মু. ছিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলা দায়ের করে দুদক।
তিনটি মামলায় দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অপরাধ অভিযোগ আনা হয়েছে।