২১ লাখ টাকায় তিন আসামিকে ক্ষমা করতে রাজি হয়েছে কুয়েতে খুন হওয়া বাংলাদেশি নাগরিক মহিদুলের পরিবার। আসামীদের সবাই প্রবাসী বাংলাদেশি।
বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে মহিদুলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পরিবারের বৈঠকে এই সমঝোতা হয়। সিঙ্গাইরের তাহের আলীর ছেলে মহিদুল (৪৫) গতবছর কুয়েতে খুন হন। তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম কুয়েতে মামলা করলে সেখানকার আদালত তিন প্রবাসী বাংলাদেশিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। উচ্চ আদালতও এই রায় বহাল রাখে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাগবাড়ি বিবন্ধী গ্রামের ইকবাল ঢালী (২৫), তার ভাই হৃদয় ঢালী (২৩) এবং কুমিল্লার হোমনার রবিউলের ছেলে রমজান। রায়ের পর থেকেই রমজান ও ঢালী ভাইদের পরিবারের পক্ষ থেকে মৃত্যুদণ্ড মওকুফের জন্য চেষ্টা শুরু হয়।
কিন্তু কুয়েতের আইন অনুযায়ী, কেবল নিহতের পরিবার ক্ষমা করলেই সেখানকার সরকার দণ্ড মওকুফ বা লাঘব করতে পারে। এই প্রেক্ষিতে মহিদুলের মেয়ে ও ভাই-বোনের কাছে ইকবাল, হৃদয় ও রমজানের প্রাণভিক্ষা চাওয়া হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। বৃহস্পতিবার সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যস্ততায় দুই পক্ষের বৈঠক হয়।
মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গোলাম সারোয়ার ছাড়াও মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নিজাম উদ্দিন এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে রাতে গোলাম সারোয়ার বলেন, নিহতের পরিবার ৬০ লাখ টাকা দাবি করেছিল।
তবে আলোচনার পর তারা ২১ লাখ টাকার বিনিময়ে ক্ষমা করতে রাজি হয়েছে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/নিউজ ডেস্ক