ষ্টাফ রিপোর্টার :: আগমী নির্বাচন প্রতিহত করতে একটি মহল তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে মহাজোট মাঠে থাকবে বলে জানান তিনি।

শনিবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে ১৪ দলের বৈঠক শেষে তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করার মতো অর্থহীন কোনো সংলাপের প্রযোজন নেই।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘যখনই নির্বাচন আসে এবং ভোটের মাধ্যমে জনগণের রায় দেওয়ার সময় আসে তখনই একটি অশুভ মুখ চেনা মহল তৎপর হতে শুরু করে দেয়।

নির্বাচন করা জনগণের অধিকার। নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করাও একটি রাজনৈতিক দলের অধিকার। আমাদের দেশে সংবিধান অনুযায়ী পাঁচ বছর অন্তর অন্তর নির্বাচন করতে হবে।

এর কোনো বিকল্প নেই। যে কারণে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল সব সময় মনে করে, নির্বাচনে সব দল অংশ নিবে, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করবে এবং জনগণের রায়কে আমরা সবাই হাসি মুখে বরণ করে নিবো। এটাই হচ্ছে চিরাচারিত নিয়ম।’

তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন রুখতে এই অশুভ শক্তি পায়তারা করেছিল। কিন্তু আমরা নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহায়তা করেছিলাম। আজও যখন জনগণ তাদের রায় দেওয়ার জন্য উন্মুখ করে আছেন, তখন সেই মুখ চেনা মহল ফের মাঠে নেমে গেছে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সারা দুনিয়ায় নির্বাচনী সরকারের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে। মালয়েশিয়াও এই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হয়েছে। এ যুগে কোনোভাবেই ভোট কারচুপি করার সুযোগ নেই। এই ব্যাপারে দেশবাসী যেমন সজাগ, আমাদের সংবাদমাধ্যমও সজাগ, পর্যবেক্ষকেরাও সজাগ।’

তিনি বলেন, ‘ব্যারেস্টার মওদুদ বলেছেন, সংবিধানের বাইরেও নির্বাচন করা যেতে পারে। এধরণের কথা যারা বলে তাদের মনের অভিসন্ধি কী আপনারা সবাই তা বুঝতে পারেন।

সংবিধান বিরোধী কোনো কাজ বাংলাদেশে হবে না। আমরা ১৪ দল সংবিধানের বাইরের কোনো কাজ মেনে নিবো না। সংবিধান মেনেই আগামী ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী নির্বাচন হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো অর্থহীন সংলাপের পক্ষে আমরা নেই। এখন সংলাপের মানে হচ্ছে, নির্বাচনকে পিছিয়ে দেবার একটি প্রক্রিয়া। সংলাপের অর্থই হচ্ছ, দেশে  অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে একটি অসাংবিধানিক সরকারকে ক্ষমতায় আনা। এজন্য সংলাপের নাটকের কথা বলা হয়। এধরণের দাবিতে, ১৪ দল একমত নয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধ মানুষের ঐক্যমত আছে থাকবে। আমরা ১৪ দল সজাগ আছি। অনুরোধ করবো দেশবাসীকে।

আগামী নির্বাচনকে সফল করার জন্যে আপনারা সবাই সর্তক থাকবেন। এই লক্ষে সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখ থেকে মাঠে নামবো। পর্যায়ক্রমে সারা বাংলাদেশের বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করবো।

সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর আমাদের এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। নির্বাচন শিডিউল ঘোষণা হওয়ার পর আমরা যার যার মতো নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়বো। প্রধানমন্ত্রী যাকে যাকে মনোনয়ন দেবেন, তাদের পক্ষেই আমরা ১৪ দল কাজ করবো।’

১৪ দলের এই নেতা আরো বলেন, ‘প্রধামমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে মনোনয়ম দেবেন, আমরা সেভাবেই মাঠে কাজ করবো। আমাদের সামনে একটাই কাজ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পরাজিত করা।

মাঠে ময়দানে সবখানেই তাদের পরাজিত করবো ইনশাল্লাহ। নির্বাচন হবেই। নির্বাচন ঠেকানোর মতো ক্ষমতা কারোর নেই ইনশাল্লাহ।’

তিনি বলেন, ‘মাঠে ময়দানে শুধু শেখ হাসিনার জয়ের জন্য নয়, গণতন্ত্রের বিজয়ের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং কাজ করে যাবো।’

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here