দেশের পাখী বিশেষজ্ঞরা শ্রীমঙ্গলে হাইল হাওরের বাইক্কা বিলে স্থায়ী ও পরিযায়ী পাখীদের পায়ে রিং স্থাপন করছেন। সপ্তাহ ব্যাপী এই কার্যক্রমে এ পর্যন্ত ২৮ প্রজাতির প্রায় ১৮০টি পাখির পায়ে রিং স্থাপন করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ প্রজাতির পাখি বাংলাদেশে স্থানীয় ভাবে বসবাস করে এবং ১৬ প্রজাতির পাখি পরিযায়ী। পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হকের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি দল গত ৩ ডিসেম্বর থেকে বিলে অবস্থানন করে পাখির পায়ে রিং স্থাপন করছেন। দেশে গত মৌসুম থেকে রিং লাগানো কার্যক্রম শুরু হলেও বাংলাদেশের নামের রিং প্রথম লাগানো শুরু হলো শ্রীমঙ্গলের বাইক্কা বিলে মৌসুমের শুরুতে।
ছয়জনের গবেষক দলে রয়েছেন বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সভাপতি ইনাম আল হক, ইংল্যান্ডের পাখি বিশেষজ্ঞ নিক্ ডায়মন্ড, থাইল্যান্ডের মাহিদল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ফিলিপ রাউন্ড, বার্ড ক্লাবের সদস্য মোহাম্মদ ফয়সাল, সামিউল মোহসেনিন ও সায়াম চৌধুরী। আইপ্যাক ও বড়গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠন তাদের এ কাজে সহায়তা করছে বলে ইনাম আল হক জানান।
ইনাম আল হক গত ৭ ডিসেম্বর বুধবার এ প্রতিবেদককে বলেন, বাইক্কা বিলে গত পাঁচদিনে যেসব দেশি পাখিদের পায়ে রিং স্থাপন করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে তিলা-ঘুঘু, পাতি- মাছরাঙ্গা, করুণ-পাপিয়া, সবুজ-সুইচোরা, ল্যাঞ্জা-লাটোরা, বাংলা-বুলবুল, ঝুটি-শালিক, পাকড়া-শালিক, কালা-ফিঙ্গে, খয়রা-শিকরেপ্যাঁচা।
পরিযায়ী পাখির মধ্যে রয়েছে বাচাল-নলফুটকি, উদয়ী-নলফুটকি, ধলাপা-চুনিকণ্ঠী, মেটে-লাটোরা, হলদেভ্রু-ফুটকি, তাইগা-ফুটকি, কালাভ্রু-চুটকি, মেটে-চুটকি।
ইনাম আল হক আরো বলেন, এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী গবেষণা। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে পাখিদের আগমনের স্থান, গতিবিধি পর্যবেক্ষণ, খাদ্যাভ্যাস, আয়ুষ্কাল সম্পর্কে জানা যাবে। পরিবেশ রক্ষা ও সংরক্ষণে এটা জানা খুবই জরুরি।
মো. কাওছার ইকবাল, শ্রীমঙ্গল মৌলভীবাজার