বৃহস্পতিবার মালদ্বীপের ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপ আদ্দুতে দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের শীর্ষ নেতারা মিলিত হচ্ছে ১৭তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে। এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিয়ে তারা আলোচনা করবেন।

ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আদ্দু পৌঁছেছেন। শীর্ষ সম্মেলন ছাড়াও কাল তিনি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর সাথে। কথা বলবেন তিস্তাসহ বিভিন্ন অমীমাংসিত বিষয়ে।

আঞ্চলিক সংযোগীতার দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে কম উন্নত অঞ্চল গুলোর একটি দক্ষিণ এশিয়া। আর এই অঞ্চলের দেড়শ কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটানোর লক্ষ্য নিয়ে কাল মালদ্বীপের ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ আদ্দুতে বসছে এই সার্ক শীর্ষ সম্মেলন।

ইকুয়েটরের কনভেনশন সেন্টারে বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠক শেষ হয়েছে এবং সেখানে সার্কের আলোচ্য সূচী চূড়ান্ত করা হয়েছে।

ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সার্ক ফুড ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং আঞ্চলিক বাণিজ্য ও অর্থনীতির সম্প্রসারণের বিষয়টি সাফটার আলোকে আরো দ্রুত গতিতে এগিয়ে নেয়ার কথা বলা হয়।

এদিকে, বুধবার বিকালে ভারতীয় ও পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীদের অবতরণের পর আদ্দুর গ্যাং বিমানবন্দরে পৌঁছছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মো. নাসিত তাকে আন্তরিক অর্ভ্যথনা জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার শীর্ষ বৈঠকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালে সাংরিলা রিসোর্টে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

সেখানে তিস্তার পানি বণ্টন বিষয়টি থাকবে কিনা জানতে চাওয়া হয় ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণার কাছে।

প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি কি করে বলি তারা কি নিয়ে আলোচনা করবেন, যখন তারা মুখোমুখি হবেন। আশা করি, বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো নিয়ে তারা আলোচনা করবেন’।
তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মিজারুল কায়েস বলেছেন, হাসিনা-মনমোহনের আলোচনায় থাকবে তিন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু- তিস্তার পানি, বিদ্যুৎ সহযোগীতা এবং নদীবন্দর ব্যবহারের বিষয়টি।

তিনি বলেন, ‘পানি বণ্টন, বিদ্যুতের ইস্যুটা আলোচনা হবে, এছাড়া, কিভাবে আমরা এই অঞ্চলের কানেকটিভিটিকে কার্যকর করতে পারি, কিভাবে বন্দর গুলোর ব্যবহার হতে পারে, এই সবগুলো আসবে।’

স্বাগতিক দেশের নেতৃবৃন্দ এবারের শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হিসেবে পছন্দ করেছেন ‘সেতু বন্ধন’। কারণ এবারের শীর্ষ সম্মেলনে সদস্য দেশগুলোর মধ্যেকার মতপার্থক্য নিরসণে রাজনৈতিক সংলাপসহ আঞ্চলিক যোগাযোগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হবে।

তবে অতীতের অচলায়তন ভেঙ্গে সার্ক শীর্ষ নেতারা একে অন্যের দিকে সহযোগীতা ও সমঝোতার হাত কতটা বাড়াতে পারে, দক্ষিণ এশিয়ার নতুন প্রজন্মের জন্য সমন্নিত উন্নয়নের মডেল তারা তুলে ধরতে পারেন কিনা, মূলত তার ওপরই নির্ভর করছে সার্কের, বিশেষ করে দুই দিনের এই আদ্দু শীর্ষ সমোলনের কাঙ্খিত সাফল্য।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ঢাকা

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here