মো: আরিফ হোসেন, তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি :: ভোলার তজুমদ্দিনে দেড়লক্ষ মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য নির্মিত একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে একটি এক্সরে মেশিন থাকলেও টেকনেশিয়ানের অভাবে মেশিনটি চালু না হওয়ায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সেবা নিতে আসা সাধারণ রোগীদের। ফলে টেকনেশিয়ান না থাকার কারণে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে তালা ঝুলছে এক্সরে মেশিনের কক্ষটিতে।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার কথা চিন্তা করে ২০০৪ সালে তৎকালীন সরকার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে একটি এক্সরে মেশিন দেয়। মেশিনটি আসার পর থেকে টেকনেশিয়ান না থাকায় দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরও এটি চালু করা হয়নি। ফলে এক্সরে মেশিনের কক্ষটিতে ঝুলছে তালা। দীর্ঘদিন মেশিনটি চালু না করায় বর্তমানে মেশিনটির কী অবস্থা তাও জানেনা কর্তৃপক্ষ। তাদের ধারণা যেহেতু এক্সরে মেশিনটি আসার পর থেকে অদ্য পর্যন্ত চালু করা যায়নি তাই এটি অকেজো হয়েই পড়ে আছে।
হাসপাতালে এক্সরে করার ব্যবস্থা না থাকায় জটিল সমস্যায় নিয়ে কোন রোগী হাসপাতালে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের বাহিরে ডায়াগনষ্টিকে প্রেরণ করলে ডায়াগনষ্টিক কর্তৃপক্ষ রোগীর কাছ থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফি নিচ্ছেন তাদের ইচ্ছেমত। যার কারণে সাধারণ রোগীদেরকে যেমনি পৌহাতে হচ্ছে দূর্ভোগ তেমনি গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। তাই সাধারণ রোগীদের দূর্ভোগের বিষয়টি চিন্তায় নিয়ে কবে নাগাদ এক্সরে মেশিনের কক্ষটির তাল খুলবে এ প্রশ্ন উপজেলার সচেতন মহলের।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. হাসান শরীফ বলেন, সরকারী হাসপাতালের এক্সরের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ফি সরকার কর্র্তৃক নির্ধারিত থাকে। কিন্তু প্রাইভেট ক্লিনিক বা ডায়াগনষ্টিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফি তাদের জেলা ভিত্তিক কমিটি নির্ধারণ করেন। সে অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফি আদায় করে থাকেন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলো।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কবির সোহেল বলেন, টেকনেশিয়ান না থাকায় এক্সরে মেশিনটি চালু করা যাচ্ছেনা। প্রয়োজনে রোগীদের এক্সরে করার জন্য বাহিরে পাঠানো হয় এতে তারা অনেক দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। টেকনেশিয়ান চেয়ে বিষয়টি আমি লিখিত ভাবে সিভিল সার্জনকে জানাবো।