ফরহাদ খাদেম, ইবি সংবাদদাতা ::
চাকুরী হতে অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি, পোষ্যকোটার ভর্তিতে শর্ত শিথিল ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের সেশন বেনিফিট বহাল রাখা সহ ১৬ দফা দাবিতে সাধারণ সভা ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ইসলামী বিশ্বিবদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তারা।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে এ সভা আয়োজন করেন তারা। এতে সভায় প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, কর্মকর্তাদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সাথে বৈঠক করেন উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম। বেলা ১০টায় উপাচার্যের কার্যালয়ে শিক্ষক সমিতি ও শাপলা ফোরামের সাথে আলাদা আলোচনায় বসেন তিনি। এসময় কর্মকর্তাদের পরিস্থিতি নিরসনে শিক্ষকদের মতামত চান বলে জানা যায়।
এর আগে, গত ২৬ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত দাবি আদায়ে ২ঘন্টা করে কর্মবিরতি করেন কর্মকর্তারা। পরে ০৫ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পাঁচ ঘন্টা কর্মবিরতি অব্যাহত রাখেন তারা। ঐসময় দাবি মানা না হলে আগস্ট মাস শেষে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারিও প্রদান করা হয়। এর পরেও তাদের দাবি মেনে নেওয়ায় গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লাগাতার কর্মবিরতি পালন করে আসছেন তারা।
কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রশাসনিক কাজে কর্মকর্তা কর্মচারীদের অংশগ্রহণ না করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এর অংশ হিসেবে গত ৩ সেপ্টেম্বর রেজিস্ট্রারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬১ তম সিন্ডিকেটে অংশ নিতে দেননি আন্দোলনকারীরা। ওইদিন বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রেজিস্ট্রারের অফিস ঘেরাও করে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন কর্মকর্তারা। পরে ১৬ সেপ্টেম্বর দাবিসমূহ নিয়ে উপাচার্যের সাথে আলোচনায় বসেন তারা। এসময় দাবি আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সাত দিনের সময় বেঁধে দেন আন্দোলনকারীরা।
সাধারণ সভায় কর্মকর্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন নিয়োগ দিতে হলে আগে কর্মরতদের সুবিধা প্রদান করে তারপর নিয়োগ হবে। আমাদের সন্তানদের কোটায় ভর্তির সুবিধা প্রদান এবং আমাদের চাকরির বয়সসীমা ৬২ করে দিতে হবে। উপাচার্যের মধ্যে আমরা দেশপ্রেম দেখতে পাইনি। তিনি আমাদের সাথে অমানবিক আচরণ করছেন।
তারা আরো বলেন, আমাদের ন্যায়সংগত দাবিগুলো কোনও কর্মকর্তা বিরোধিতা করলে তাদের পরিনতি ভালো হবে না। যারা প্রশাসনের সাথে মিলিত হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে একত্রে আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমাদের দাবিগুলো মেনে না নিলে উপাচার্যের বিদায় ঘণ্টা বাজবে। আমাদের দাবি মেনে নিলে এখনি আমরা কাজে ফিরে যাব। অন্যথায় শনিবার কোনও অফিস ও গাড়ি চলবে না এবং তালা ঝুলবে।
এদিকে, আন্দোলনের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে কর্মকর্তাদের একাংশ চাকরির বয়স উন্নীত এবং পোষ্য কোটায় শর্ত শিথিলের দাবির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এ দুটি দাবি কর্মকর্তাদের আন্দোলনের প্রধান দাবি বলে জানা যায়।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here