ইউনাইটেড নিউজ২৪ ডেস্ক::

‘বিদ্যালয় মোদের বিদ্যালয়, এখানে সভ্যতারই ফুল ফোটানো হয়’। সৈয়দ আবদুল হাদী ও রুনা লায়লার কণ্ঠে গাওয়া কালোজয়ী সেই গানের দৃশ্য ধরা পড়লো  রাজধানীর ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন প্রোগ্রাম’ এর বিভিন্ন শিখন কেন্দ্রে গিয়ে।নতুন স্কুল ড্রেস পরিহিত শিশুদের সম্মিলিত সমাহার যেন সদ্য প্রস্ফূটিত এক একটি ফুলের বাগান। স্কুল ড্রেসের সাথে ১২০০ শিশু শিক্ষার্থীকে দেয়া হলো একটি করে স্কুল ব্যাগও। ড্রেস এবং ব্যাগ পেয়ে আনন্দিত শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকরা বলছেন এটি একটি ভালো উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের জন্য।

বুধবার ১৪ জুন, ইউনাইটেড নিউজের ক্যামেরায় এমন দৃশ্য ধরা পড়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন শিখন কেন্দ্রে গিয়ে। শিশুদের চোখেমুখে আনন্দের উচ্চারণ। অভিভাবকরা বলছেন এতে করে শিশুরা আরো বেশি পাঠে মনোযোগী হবার পাশাপাশি বিদ্যালয়ে নিয়মিত হবে।

রাজধানীতে নিম্ন আয়ের ও বস্তিতে বসবাসরত পরিবারের শিশুদের বিনামূল্যের বিদ্যালয় হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিতি পেয়েছে ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন প্রোগ্রাম’। মূলত ঝরেপড়া শিশুরাই এই শিখনকেন্দ্রের শিক্ষার্থী। বাংলাদেশ সরকারের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো পরিচালনায় ২০২১ সাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের ২০টি পয়েন্টে ৪০টি স্কুল পরিচালনা করে আসছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ঘাসফুল। এইসব বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১২০০ শিশু শিক্ষার্থী প্রথম শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পড়াশুনা করছে বর্তমানে।

পড়াশুনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ১দিন খেলাধুলার সুযোগও পাচ্ছে এইসব শিখনকেন্দ্রে। অন্তত কিছুটা হলেও জ্ঞান আহরণের সুযোগ পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা এইসব শিখন কেন্দ্র থেকে। এদের মধ্যে অনেকেই আবার মূল শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে যুক্ত হচ্ছে এই শিখন কেন্দ্র থেকে শিক্ষা সমাপ্তী শেষে। সচেতন মহল বলছেন, এমন দিকে বিচার করলে আউট অব স্কুল চিলড্রেন প্রোগ্রাম এর  সফলতা একেবারে কম নয়।

স্কুল ড্রেস ও স্কুল ব্যাগ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শিখনকেন্দ্রের শিক্ষকবৃন্দ ও প্রোগ্রাম সুপারভাইজার ছালেহা বেগম, আফসানা আক্তার। ঝরেপড়া শিশুদের শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিতে ২০২১ সালে যাত্রা শুরু করার পর থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ বিতরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষামুখী করার অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বেসরকারি এনজিও ঘাসফুল।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here