সেই কাঙ্খিত ১১.১১.১১। ইতিমধ্যে বচ্চন পরিবারের কাউন্ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে বিটার ও জুয়াড়ুদের মাঝে চলছে শেষ মূহুর্তের হিসাব নিকাশ। মাতৃত্বের স্বাদ পেতে আর মাত্র কিছু সময় অপেক্ষা ঐশ্বরিয়ার। প্রথম সন্তান প্রসবের জন্য ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন মুম্বাইয়ের ম্যারোলে সেভেন হিলস হাসপাতালে ইতিমধ্যেই ভর্তি হয়েছেন ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে। পুরো হাসপাতালকে ঘিরে প্রশাসন নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলেছে।

পরিচ্ছন্নতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মুগ্ধ হয়েই ঐশ্বরিয়া সেভেন হিলস হাসপাতালে সন্তান জন্ম দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হাসপাতাল কতৃপক্ষও তাই নিরাশ করতে চান না বচ্চন পরিবারকে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। চিকিৎসায় কোন ত্রুটি না রাখতেই হাসপাতালের কর্মীরা  অতিরিক্ত সময় কাজ করছেন। হাসপাতালের পাঁচ তালায় একটি সুসজ্জিত বিশেষ কেবিনে ঐশ্বরিয়াকে রাখা হয়েছে।
১০ নভেম্বরের পর যেকোন সময় ঐশ্বরিয়ার সন্তান প্রসব হতে পারে, এ জন্য  হাসপাতালের চিকিৎসক ওকর্মীরা সার্বক্ষণিকভাবে সচেতন রয়েছেন। কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ঐশ্বরিয়ার কেবিনটিতে হাসপাতালে কোন কর্মীকে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। কর্তপক্ষ জানিয়েছে,  প্রসবকালীন সময়ে হাসপাতালে থাকা অবস্থায় ঐশ্বরিয়াসহ বচ্চন পরিবারের কোন সদস্যের ছবি কিংবা ভিডিও চিত্র যেন হাসপাতালের বাইরে ও মিডিয়া প্রকাশ না পায় সে জন্যেই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
হাসপাতালের বিশেষ নিরাপত্তাবাহিনী ৬ ঘন্টার পরিবর্তে বর্তমানে ১২ ঘন্টা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে। পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনেরও সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে। বচ্চন পরিবারের নিরাপত্তা রক্ষায়  হাসপাতালের সম্মান  অনেকটাই নির্ভর করছে বলে মনে করেনসেভেন হিলস কর্তপক্ষ।
বচ্চন পরিবার ১১.১১.১১ তে ঐশ্বরিয়ার সন্তান প্রসবের রটে যাওয়া গুজব নিয়ে প্রথম থেকেই বিব্রত ছিলেন। ১১.১১.১১ তারিখটিকে সামনে রেখে ১৫০ কোটি রূপি বাজিও ধরেছেন কিছু বাজিকর। কিন্তু বচ্চন পরিবার এই গুজবকে অস্বীকার করেছেন। মিডিয়ার এই সব হয়রানির কারণে অভিষেক বচ্চন সন্তান প্রসবের জন্য ঐশ্বরিয়াকে লন্ডন নিয়ে যাবার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু  ঐশ্বরিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা চিন্তা করে অবশেষে মুম্বাইতেই সন্তান প্রসবের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর সে কারনেই অবাঞ্চিত কোন ঘটনা যেন বচ্চন পরিবারকে বিব্রত করতে না পারে সেদিকেও নজর দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/বিনোদন নিউজ

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here