ইমা এলিস/ বাংলা প্রেস, নিউ ইয়র্ক ::
আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রে ১১ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে বৈধতা করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। অবৈধ অভিবাসী স্বামী-স্ত্রীকে বৈধতার লক্ষ্যে আবেদন করার জন্য একটি ’প্যারোল ইন প্লেস’ পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করছে হোয়াইট হাউস। ইতিমধ্যেই এর মাধ্যমে মার্কিন সামরিক সদস্যদের পরিবারের ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করা হচ্ছে এবং এক বছর এক বছর করে তাদের সময় বাড়ানো হচ্ছে।
প্যারোল ইন প্লেস মার্কিন নাগরিকদের অবৈধ স্বামী-স্ত্রীকে নির্বাসন থেকে রক্ষা করবে এবং তাদের ওয়ার্ক পারমিট প্রদান করবে। পরবর্তীতে তাদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে। তবে কীভাবে সেই বিবরণগুলি এখনও পরিষ্কার নয়। ইমিগ্রেশন অ্যাডভোকেসি গ্রুপগুলোর তথ্য অনুসারে মার্কিন নাগরিকদের প্রায় ১১ লাখ স্বামী/স্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাস করছেন। গ্রুপগুলো বলেছে তাদেরকে মার্কিন নাগরিক করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ১৬ বিলিয়ন ডলার যোগ করবে।
বৃহত্তর অভিবাসন সংস্কার প্যাকেজের অংশ হিসাবে লাখ লাখ অবৈধ অভিবাসীর নাগরিকত্ব দেয়ার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট বাইডেন পদক্ষেপ নেয়া কথা বিবেচনা করছেন। এই বছরের শুরুর দিকে সিনেটে উত্থাপিত একটি পৃথক দ্বিদলীয় বিল প্রশাসনের সমর্থন অর্জন করেছিলো কিন্তু তা পাশ করা সম্ভব হয়নি রিপাবালিকানদের কারণে। প্রেসিডেন্টের নতুন পরিকল্পনারও প্রচণ্ড বিরোধিতার মুখে পড়বে। ইতিমধ্যেই রিপাবালিকানরা অভিযোগ করেছেন, প্রেসিডেন্ট তার ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন।
নভেম্বরে আসন্ন নির্বাচনে এই ধরনের পদক্ষেপ কী প্রভাব ফেলতে পারে তা স্পষ্ট নয়। তবে তার প্রচারণা আশা করে যে প্যারোল সম্প্রসারণ তাকে অ্যারিজোনা এবং নেভাদার মতো সুইং রাজ্যে সাহায্য করবে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন গত ৪ জুন মঙ্গলবার ইঙ্গিত দিয়েছেন অভিবাসনের বিষয়ে আরও উদার পদক্ষেপ সামনের সপ্তাহগুলিতে আসতে পারে। গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট বাইডেন দক্ষিণ সীমান্তে অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয়ে ব্যাপারে একটি নির্বাহী আদেশ ঘোষণা করেন। এই নির্বাহী আদেশ এখনও সীমান্তে অবৈধ অভিবাসীদের সীমান্ত ক্রসিংয়ের সংখ্যার উপর প্রভাব ফেলেনি। এই আদেশ কিছু আইন প্রণেতাদের নিন্দা এবং নাগরিক অধিকার গোষ্ঠীগুলির কাছ থেকে তাৎক্ষণিক মামলার হুমকিসহ শুধু এটি একটি উদার ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। গত ৪ জুন মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ’আজ আমি সীমান্ত সুরক্ষিত করার জন্য আমাদের কী করতে হবে তা নিয়ে কথা বলেছি। সামনের সপ্তাহগুলিতে আমি কীভাবে আমাদের অভিবাসন ব্যবস্থাকে আরও ন্যায্য এবং আরও ন্যায়সঙ্গত করতে পারি তা নিয়ে কথা বলব।
হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, যেমন আমরা আগেই বলেছি, প্রশাসন নীতিগত বিকল্পগুলির পথ খুঁজছে এবং আমরা আমাদের ভঙ্গুর অভিবাসন ব্যবস্থার সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্যারোল আরও বিস্তৃৃতভাবে বাইডেন প্রশাসন দ্বারা সিবিপি ওয়ান অ্যাপ ব্যবহার করে পোর্টের মাধ্যমে দিনে ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি এবং সেই সাথে কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া এবং ভেনিজুয়েলার নাগরিকদের জন্য একই প্রক্রিয়ায় মাসে ৩০ হাজার জনকে আসার সুযোগ দেয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here