ডেস্ক রিপোর্ট::  শীতে কাঁপছে উত্তরের হিমপ্রবণ জেলা পঞ্চগড়ে। রাতভর বৃষ্টির মতো ঝরতে থাকে কুয়াশার শিশির। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেন গ্রামাঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষগুলো।

রোববার (৮ ডিসেম্বর)সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন দিন পর ১২ ডিগ্রি ঘর থেকে ১১ ডিগ্রির ঘরে নামল তাপমাত্রা। জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার তেঁতুলিয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সকালে কথা হয় হোসেন আলী, আলাউদ্দিন ও আমির আলীর সঙ্গে। তারা জানান, রাতে প্রচণ্ড ঠান্ডা লাগছে। আজও ভোরে কুয়াশা ছিল, তবে গতকালের মতো না। প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে হাত-পা যেন অবশ হয়ে আসার মতো অবস্থা। রাতে এখন ডাবল কাঁথা-কম্বল নিতে হচ্ছে। মনে হচ্ছে পৌষ মাসের ঠান্ডা শুরু হয়েছে।

এদিকে শীতের কারণে বেড়েছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগীর ভিড়। শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা শীতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে চিকিৎসকরা চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।

পঞ্চগড়ের প্রথম প্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বলেন, গত তিন দিন ১২ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা রেকর্ডের পর রোববার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। গতকাল শনিবার রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ ভোরেই সূর্য দেখা গেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here