১১ কোটি ২০ লাখ পাঠ্যপুস্তক কিনবে সরকার

ডেস্ক রিপোর্টঃঃ  ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ১১ কোটি ২০ লাখ ১ হাজার ৪৭৪টি পাঠ্যপুস্তক কিনবে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮৯ কোটি ২৫ লাখ ২৮ হাজার ৯২৬ টাকা।

এসব পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভা শেষে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল বারিক। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) মাধ্যমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এসব পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে।

অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল বারিক জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের মাধ্যমে ৪৮৯ কোটি ২৫ লাখ ২৮ হাজার ৯২৬ টাকায় ১১ কোটি ২০ লাখ ১ হাজার ৪৭৪টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এসবের মধ্যে রয়েছে ইবতেদায়ি (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি), মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি, দাখিল স্তরের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি, শিক্ষক নির্দেশিকা ও কারিগরি পাঠ্যপুস্তক (ট্রেড বই)।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, ১৮২টি লটে উন্মুক্ত দরপতনের মাধ্যমে এসব পাঠ্যপুস্তক কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য এসব পাঠ্যপুস্তক কেনা হবে।

এদিকে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে দুটি এবং সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ১১টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।

এর মধ্যে অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে দুটি এবং সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ১০টি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদন দেওয়া প্রস্তাবগুলোর জন্য মোট অর্থের পরিমাণ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯০৩ কোটি ৮৭ লাখ ১ হাজার ৯২৩ টাকা।

আব্দুল বারিক জানান, অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ কর্তৃক ‘ঢাকা জেলার দোহার উপজেলাধীন মাঝিরচর থেকে নারিশাবাজার হয়ে মোকসেদপুর পর্যন্ত নদী ড্রেজিং ও বাম তীর সংরক্ষণ’ কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিএমপি) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে অর্পিত ক্রয় কার্য অনুসরণে বাস্তবায়নের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ কর্তৃক ‘কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলাধীন নির্মিতব্য মিঠামইন সেনা স্থাপনার ভূমি সমতল উঁচুকরণ, ওয়েভ প্রটেকশন ও তীর প্রতিরক্ষা কাজ’ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে অর্পিত ক্রয় কার্য অনুসরণে বাস্তবায়নের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here