ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডেস্ক ::

বেনফিকার সাথে গোলশূন্য ড্র করে বার্সেলোনার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬’তে খেলার স্বপ্ন অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে ।

বার্সার ডাগ আউটে কাল রোনাল্ড কোম্যানের স্থলাভিষিক্ত জাভি হার্নান্দেজ দ্বিতীয় ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেপ্টেম্বরে লিসবনের ম্যাচটিতে এই বেনফিকার কাছে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল কাতালান জায়ান্টরা। সে কারণেই তাদের সামনে সুযোগ ছিল ক্যাম্প ন্যু’র ফিরতি ম্যাচে বেনফিকাকে চেপে ধরার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উজ্জীবিত বেনফিকার সামনে আর পেরে উঠেনি স্বাগতিকরা। এই ম্যাচে জয়ী হতে পারলে বায়ার্ন মিউনিখের পরে গ্রুপ-ই’র দ্বিতীয় দল হিসেবে বার্সেলোনারও নক আউট পর্ব নিশ্চিত হয়ে যেত। কিন্তু এখন আগামী ৮ ডিসেম্বর শেষ ম্যাচে জার্মান জায়ান্টদের হারানোর কোন বিকল্প নেই। তা না হলে বেনফিকা যদি ডায়নামো কিয়েভকে পরাজিত করতে পারে তবে তারাই যাবে পরের রাউন্ডে। এই মুহূর্তে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে বেভারিয়ান্সরা। ৭ পয়েন্ট নিয়ে বার্সেলোনা দ্বিতীয় ও দুই পয়েন্ট পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেনফিকা।

বার্সেলোনার ডিফেন্ডার রোনাল্ড আরাউজো বলেছেন, ‘কোচ আমাদের যা বলেছেন আমরা ঠিক সেভাবেই খেলতে চেয়েছি। বিশেষ করে মাঠে আমরা বেশ আগ্রাসী ছিলাম। তবে গোলের অভাবে আজ আমরা জিততে পারিনি।’

অস্ট্রিয়ান ১৮ বছর বয়সী স্ট্রাইকার ইউসুফ ডেমিরের শট প্রথমার্ধে পোস্টে লেগে ফেরত না আসলে তখনই হয়ত এগিয়ে যেতে পারতো বার্সা। অস্ট্রিয়ান ক্লাব র‌্যাপিড ভিয়েনা থেকে ধারে খেলতে আসা এই উইঙ্গারের কার্লিং শট বেনফিকার গোলরক্ষক ওডিসিস ভøাকোডিমোসকে পরাস্ত করলেও ক্রসবার পার করতে পারেনি। এর ১০ মিনিট আগে খুব কাছে থেকে রোমান ইয়েরেমচুকের শট রুখে দেন বার্সা গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগান।

প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে কাল মাঠে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৫০ হাজার সমর্থক। উজ্জীবিত দর্শকের সামনে দ্বিতীয়ার্ধে বার্সেলোনা কিছুটা আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠার চেষ্টা করে। এতে তারা ম্যাচের আধিপত্যও নিজেদের করে নেয়। সেই তুলনায় অনেকটাই শান্ত থাকা বেনফিকা নিজেকে শক্তভাবে প্রতিরোধ করেছে। বেনফিকার পর্তুগীজ কোচ জর্জ জেসাস দলকে পুনরীজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ইয়ারেকচুকের স্থানে ডারউইন নানেজ ও হুয়া মারিওর স্থানে আদেল তারাবাতকে মাঠে নামান। জাভিও ঐ সময় ডেমিরের স্থানে বিশ্বকাপ জয়ী ফরাসি তারকা ওসমানে ডেম্বেলেকে মাঠে নামান। ম্যাচের শেষ ভাগে ডেম্বেলে কিছুটা উত্তেজনা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিলেন।

৬৮ মিনিটে ফ্রেংকি ডি জংয়ের হেড কোনমতে কর্ণারের মাধ্যমে রক্ষা করেন ভøকোডিমোস। ম্যাচ শেষের সাত মিনিট আগে অফ সাইডের কারনে আরাউজোর গোল বাতিল হয়ে গেলে বার্সেলোনার আর এগিয়ে যাওয়া হয়নি। ইনজুরি টাইমে প্রাপ্ত চার মিনিটও কাজে লাগাতে পারেনি দুই দল। যদিও ঐ চার মিনিট দেখে মনে হয়েছে দুই দলই যেন অন্তত এক পয়েন্ট করে নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারলেই খুশী।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here