গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন, হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ::

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনে ১২ থেকে ১৮ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। গত তিন দিনে ভারতীয় ৩৪ টি ট্রাকে ৯৭৮ মেট্রিকটন ৯ শ কেজি পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে। এসব পেঁয়াজ নতুন শুল্ক ২০ শতাংশ দিয়েই আমদানি হচ্ছে। তবুও কমেনি পেঁয়াজের দাম। পাইকারী বাজারে কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বন্দরের পাইকারী মোকামে প্রতিকেজি ভারতীয় ইন্দর জাতের পেঁয়াজ ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৮৭ টাকায় এবং নাসিক ৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পন্যটির দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন বন্দরে আসা পাইকাররা।অন্যদিকে হিলির খুচরা বাজারে ১০৫ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে দেশীয় পেঁয়াজ। দাম না কমার কারনে হতাশা প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা।

শুক্রবার (২০ সেপ্টম্বর) সকালে হিলি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়,প্রতিটি দোকানে কম বেশি আমদানিকৃত
পেঁয়াজ রয়েছে। খুচরা বাজারে মানভেদে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা ফরহাদ বলেন,শুল্ক কমিয়েছে ভারত সরকার সেখানে তো পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে নেমে আসার কথা। কিন্তু বাজারে তার উল্টো চিত্র। প্রতিদিন যদি সব নিত্যপণ্যের দাম এভাবে বৃদ্ধি হয় তাহলে আমরা তো খেটে খাওয়া মানুষ কিভাবে চলবো।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আবু তাহের বলেন, বন্দরের পাইকারী বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি।তবে কি কারণে দাম বেশি তা আমরা জানিনা। আমরা বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি। যদি ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পায় তাহলে দেশি পেঁয়াজের দামও বৃদ্ধি পাবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমরা ব্যালেন্স পেঁয়াজ পাইকারী কিনেছি ৮৩ টাকা কেজি দরে।আর একটু ভালো মানের পেঁয়াজ ৮৫ টাকা কিনে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।

হিলি বাজারে যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে এর থেকে আরও ভালো মানের পেঁয়াজ তার দাম বেশি। তাই আমরা ব্যালেন্স পেঁয়াজ বিক্রি করছি। ভালো মানের পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়া সেটি দেশের বিভিন্নস্থানে যায়। হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে,চলতি সপ্তাহের তিন দিনে ভারতীয় ৩৪ ট্রাকে ৯৭৮ মেট্রিকটন ৯ শ কেজি পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here