গোলাম গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন, হিলি  প্রতিনিধি ::
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর খুচরা বাজারে ডিম ও রসুন এর দাম। তিনদিনের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা কমে প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। অন্য দিকে সপ্তাহের ব্যবধানে কমতে শুরু করেছে ডিমেরও দাম। ৪৪ টাকা হালির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা হালিতে। 
পবিত্র মাহে রমজানে সব জিনিস পত্রের দাম বেড়েছে। রমজান মাসে ডিম আর রসুনের দাম কম হওয়াতে খুশি সাধারণ ক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন বেশি উৎপাদন ও বাজারে আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমেছে।
সোমবার (৩ এপ্রিল) সকালে হিলি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে, বাজারে মসলা দোকানসহ অন্য দোকানে ভারতীয় রসুন ও দেশীয় রসুন কম বেশি দেখা গেছে এবং আমদানি প্রচুর হয়েছে। গত তিন আগে বাজারে প্রতিকেজি রসুন ৭৫-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। আজ সেই রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। এসব রসুন ব্যবসায়ীরা জেলার বিরামপুর, পার্শ্ববর্তী জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবিসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে পাইকারি কিনে এনেছেন।
অন্য দিকে বাজারে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ডিমের দাম কমেছে হালিতে ৪ টাকা। ৪৪ টাকার ডিম আজ (সোমবার) বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা হালিতে। এক পাতা ডিম (৩০ টা) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। ডিমের দাম কিছুটা কম হওয়াতে স্বস্তি সাধারণ ক্রেতাদের।
হিলি ডিম কিতে আসা গৃহবধূ শাহনাজ পারভীন বলেন, রমজান মাসে ডিম একটু বেশি লাগে। গত কয়েকদিন আগে ডিমের হালি ছিলো ৪৪ টাকা। আজ ৪০ টাকা হালি কিনলাম। এক পাতা ডিম ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালিতে ৪ টাকা কমেছে।
বাজারে রসুন কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশি রসুন ওঠার আগে ভারতের রসুন ১০০ টাকার উপরে কিনতে হয়েছিলো। দেশি রসুন উঠে গেছে, তাই দামও অনেক কম। গত তিন দিন আগে প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি। আজ ৬০ টাকা কেজি দরে এক কেজি রসুন কিনলাম।
হিলি বাজারে পাইকারি রসুন ব্যবসায়ী শাকিল আহম্মেদ বলেন, চলতি রমজান মাসে রসুনের দাম কমে যাচ্ছে। বিরামপুর থেকে আমরা ৫০ টাকা কেজি দরে পাইকারি কিনে তা ৬০ কেজি দরে বিক্রি করছি। এসব কাঁচামাল শুকিয়ে গেলে ঘাটতি হয়। দেশে পেঁয়াজের পাশাপাশি রসুনেরও আবাদ বেশি করেছে কৃষক। ফলন ভালো তাই আমদানি প্রচুর, বাজারে দামও কমে যাচ্ছে। আশা করছি দাম আরও কমে যাবে।
হিলি বাজারের ডিম বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, উৎপাদন বেশি ও বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিম দাম একটু কমেছে। গত সপ্তাহে ডিম হালিতে (৪ পিচ) বিক্রি করেছি ৪৪ টাকা আর এক পাতা (৩০ পিচ) বিক্রি করেছি ৩২০-৩৩০ টাকা। আজ প্রতি হালি ৪০ টাকা ও পাতা ৩০০ টাকা বিক্রি করছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here