গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন, হিলি প্রতিনিধি ::
দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলিতে বাধা দেওয়ার পরেও গোপনে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রীর বাল্যবিবাহ দেওয়ার অপরাধে বিবাহের দুই দিন পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মেয়ের বাবার ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও মুচলেকা নিয়েছেন  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত রায়।
শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে উপজেলার আলিহাট ইউনিয়নের বাওনা গ্রামের জনৈক সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে বাধা দেওয়ার পরেও বাল্যবিবাহ দেওয়ার অপরাধে বিবাহের দুই দিন পরে মেয়ের মেয়ের বাবাকে ২৫০০০ (পঁচিশ হাজার) টাকা অর্থ দন্ড ও মুচলেকা নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায়।
আলিহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নের বাওনা গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তি তার সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে গত বৃহস্পতিবার ১৩ জুলাই বিবাহ দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। গোপন সংবাদে জানতে পেয়ে ওই খানে গ্রাম পুলিশকে পাঠিয়ে দেই বিবাহ অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে আমার লোকজন চলে আসলে ওই রাতে ফজরের সময় পার্শ্ববর্তী পাঁচবিবি উপজেলার রায় গ্রামের জনৈক বরকে ডেকে এনে বিবাহ পরিয়ে দেন। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজ দুপুরে মেয়ের বাবার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্যবিবাহ দেওয়ার অপরাধে মেয়ের বাবাকে উক্ত অর্থ দন্ড প্রদান করেন। যেহেতু মেয়ে শশুর বাড়িতে আছে সেহেতু মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মেয়ে বাবার বাড়িতে থাকবে মর্মে মুচলেকা নিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) অমিত রায় জানান, ইউপি চেয়ারম্যান কতৃক বাল্যবিবাহে বাধা দেওয়ার পরেও গোপনে উপজেলার আলিহাট ইউনিয়নের বাওনা গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তি তার সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে বাল্যবিবাহ দিয়েছে।
এরপর ঘটনাস্থলে আলিহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান ও পুলিশ সদস্যদের সাথে নিয়ে মেয়ের বাবার বাড়িতে উপস্থিতিত হয়ে বাল্যবিবাহ দেওয়ার অপরাধে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ অনুসারে মেয়ের বাবাকে ২৫০০০ হাজার টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করা হয়। মেয়ে যেহেতু শশুর বাড়িতে আছে সেহেতু মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মেয়ে বাবার বাড়িতে থাকবে মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়। বাল্যবিবাহ বন্ধে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর বলেন তিনি।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here