গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন, হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ::

সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে দেশীয় রসুন ও পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৪০ থেকে ২০ টাকা। এদিকে দেশীয় আদা কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা। রমজান মাসে আর পেঁয়াজ রসুনের দাম বাড়বে না বলে জানান পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা।

আজ বুধবার (১৩ মার্চ ) বাংলাহিলি বাজারের পাইকারী ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে,পেঁয়াজ ও রসুনের দাম কমেছে কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা। দুই দিন আগে দেশীয় রসুন ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ সেই রসুন ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ তা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে দেশীয় আদা ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ কেজিতে
৪০ টাকা বেড়ে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ ও রসুন কিনতে আসা মহসিন আলী বলেন,দুই দিন আগে আমি রসুন কিনেছি ১৬০ টাকা কেজি দরে,আজ বুধবার রসুন কিনলাম ১২০ টাকা কেজি দরে। দেশীয় পেঁয়াজ কিনেছি ৯০ টাকা কেজি দরে,আজ খুচরা কিনলাম ৭০ টাকা কেজি দরে। দুইটি পণ্যের দাম কমায় আমাদের মত খেটে খাওয়া মানুষের জন্য খুব ভালো হয়েছে। এখন একটু পেঁয়াজ রসুন কিনতে পারবো।

বাংলাহিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ, রসুন ও আদা বিক্রেতা মোকারম হোসেন বলেন,গত সোমবার (১১ মার্চ) পাইকারী বাজার থেকে প্রতিকেজি দেশীয় পেঁয়াজ ৮৭ টাকা দর কিনে খুচরা ৯০ টাকা দরে বিক্রি করছি।

আজ বুধবার (১৩ মার্চ ) সকালে সেই পেঁয়াজ ৬৭ টাকা কেজি দরে কিনে খুচরা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। দেশীয় রসুন দুই দিন আগে পাইকারী বাজারে ১৫৯ টাকা কেজি দরে কিনে খুচরা ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। সেই রসুন আজ কেজিতে ৪০ টাকা কমে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আর দুই আগেও দেশীয় আদা কেজিতে বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকায় আজ সেই আদা বিক্রি করছি ১৮০ টাকা কেজি দরে।

বাংলাহিলি বাজারের পাইকারী পেঁয়াজ, রসুন ও আদা বিক্রেতা আবু তাহের বলেন, আমরা ৩ দিন আগে মোকামে সকালে এক দামে কিনলে বিকেলে মোকামে আরেক দাম ওঠে। ‘’’এভাবে দাম ওঠা নামা করলে আমরা পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা পড়ে যাই বিপাকে।

মোকামেই এভাবে পেঁয়াজ,রসুন ও আদার দাম ওঠা নামা করায় কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। ৩দিন আগে মোকামে পেঁয়াজ কিনেছি ৭২ টাকা কেজি দরে। সেই পেঁয়াজ আমরা খুচরা পর্যায়ে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। ৩ দিন আগে কিনা পেঁয়াজেই এখনো বিক্রি করে শেষ করতে পারিনি।

গত রোববার (১০ মার্চ ) থেকে মোকামে দাম কমায় আমাদের আগের কিনা পেঁয়াজ ২ থেকে ৩ টাকা লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে। দেশীয় রসুন কেজিপ্রতি কমেছে ৪০ টাকা। দুই দিন আগে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ তা ৪০ টাকা কমে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশীয় আদার দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৪০ টাকা। দুই দিন আগে যে আদা আমরা বিক্রি করেছি ১৪০ টাকা কেজি দরে সেই আদা  আজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে। কাঁচা পণ্যের বাজার সকালে দাম বাড়ে তা আবার বিকেলে কমে যায়।
আমরা কমে দামে কিনতে পারলে দুই এক টাকা লাভ রেখে বিক্রি করে থাকি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here