গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন, হিলি প্রতিনিধি ::

হিলিতে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী পিঠা উৎসব। পিঠার নানান স্বাদ নিতে দুই দিনের এই পিঠা উৎসবে ছিলো সব বয়সী মানুষের উপচে পড়া ভীড়। বাঙ্গালীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে শিক্ষার্থীদের পিঠার সাথে পরিচয় করাতেই এমন আয়োজন বলছেন আয়োজকেরা। ডাঙ্গাপাড়া মডেল স্কুল মাঠে ১১টি স্টলে ৫২ প্রকারের পিঠাপুলির পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষরা।

শীত কিংবা গ্রীষ্ম মানেই বাঙ্গালির ঘরে ঘরে মুখরোচক পিঠাপুলির আয়োজন হয়ে থাকে। তবে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালিদের অনেক ঐতিহ্য। বর্তমানে নানা ধরনের ফাস্ট ফুড খাবারের কারনে হারিয়ে যেতে বসেছে অনেক পিঠাপুলি। বাঙ্গালীর ঐতিহ্য নানান পিঠাপুলির সাথে ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরতেই প্রথমবারের মতো দিনাজপুরের হিলিতে শুরু হয়েছে দুইদিন ব্যাপী পিঠা উৎসবের। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া মডেল স্কুল কতৃপক্ষের আয়োজনে শুরু হওয়ায় পিঠা উৎসবে ছিলো নানান বয়সী মানুষের উপচে পড়া ভীড়, স্টল গুলোতে তারা নিচ্ছেন পিঠাপুলির স্বাদ।

বিদ্যালয়ে মাঠে প্রতিটি স্টলে ধান সেমাই, ভাপা, পুলি দুধ, পুলি, পাটিসাপটা, ঝিনুক পুলি, জামাই সোহাগী, গোলাপ, কানমুচুরি, পুডিং, পায়রা, তেল পিঠা,দুধ চিতাই, মুঠা পিঠা, ক্ষীর, রসগোল্লা, কেক, গোলাপ ফুল, তেলেভাজা রসপিঠা, রোল পিঠা, লাভ পিঠা, শিম ফুল পিঠা, ডালবড়া, নারিকেল পিঠা, নকশি পিঠা, নয়নতারা পিঠা সহ প্রায় অর্ধ শতাধিক পিঠার পসরা। প্রথমবার এমন আয়োজনে খুশি প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষরা। হারিয়ে যাওয়া পিঠাপুলির সাথে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের পাশাপাশি ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করাতেই এমন আয়োজন করায় অভিনন্দন জানিয়েছেন স্থানীয় অভিভাবক ও সুধি মহল।

ডাঙ্গাপড়া মডেল স্কুল পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম, বলেন আমাদের সমাজ থেকে পিঠা হারিয়ে যাচ্ছে, পিঠা কি এবং কতো ধরনের পিঠা আছে তা তারা জানেইনা। এখানে ১১টি ষ্টলে ৫২ আইটেমের পিটা তৈরী করা হয়েছে। স্কুলের ছেলে মেয়েরা এবং স্থানীয় অভিভাবকরা এই পিঠার সাথে পরিচিত হলো এবং এর স্বাধ গ্রহন করতে পারছে। প্রথমবার এই আলোজন করে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি আগামীতে আরও বড় আয়োজনে করা হবে। এতে গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া পিঠার ঐতিহ্য ও স্বাধ ফিরে আসবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here