গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন, হিলি প্রতিনিধি ::
দিনাজপুরের হিলির চন্ডিপুরে নিজ শয়ন কক্ষে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে রিংকি (১১) নামের এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। তবে এলাকাবাসীর দাবি তাকে হত্যা করে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। অন্য দিকে পুলিশ বলছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হতে পেলে বুঝা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা। কিশোরী রিংকি (১১) চন্ডিপুর এলাকার আব্দুর রশিদ এর মেয়ে।
শনিবার (০১ এপ্রিল) সকাল ১১টায় চন্ডিপুর গ্রামে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিবেশী মুকুল হোসেন জানান, মেয়েটি খুবই শান্তশিষ্ট ছিলো। তার বাবা মা গরীব মানুষ। বাবা ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করে। মা এখানে দুই তিন জনের বাড়িতে আয়ার কাজ করে। আজ সকালে ওরা তিন চার সহপাঠী মিলে বাড়ির পার্শে খেলা করতে ছিলো এরপর দুই জন বাড়িতে ভাত খেতে যায়। কিছুক্ষণ পরে তার এক সহপাঠী এসে দেখে রিংকির শয়ন ঘরের দরজা এমনিতে লাগানো আছে। হাত দিয়ে আস্তে করে দরজা সড়িয়ে দিলে খাটের উপরে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে রিংকির মরদেহ ঝুলিয়ে আছে দেখতে পায়।
তিনি আরও জানান, বাড়ি ফাঁকা পেয়ে কে বা কাহারা কিশোরীর সাথে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন কাজ করতে চাইলে সে চিৎকার করে তখন তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। রিংকি পবিত্র মাহে রমজান মাসের নিয়মিত রোজা করছে এবং আজকেও সে রোজা ছিলো বলে জানান তিনি।
রিংকির মা মোসলে বেগম বলেন, আমার স্বামী ঢাকায় কাজ করে। আমি প্রতি দিনের ন্যায় আজ সকালে মেয়েকে বাড়িতে রেখে পার্শ্ববর্তী অন্যর বাসায় কাজ করতে যাই। পরে হঠাৎ লোকজনের চিল্লাচিল্লি শুনতে পেয়ে বাহিরে আসি এবং দেখি লোকজন সব আমার দিকে দৌড়াচ্ছে। আমি বাড়িতে এসে দেখি আমার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে আছে। আমার মেয়ের সাথে আমার রাগারাগি বা মান অভিমান এরকম কোন ঘটনাও ঘটে নাই। আমি মেনে নিতে পারছি না এমনটা কিভাবে সম্ভব।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবু সায়েম মিয়া জানান, প্রাথমিক ভাবে কোন কিছু বলতে পারছিনা। তবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে আসলেই বোঝা যাবে আসলে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা।ময়না তদন্তের জন্য লাশটি দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন