হিট স্ট্রোকের লক্ষণঃ
হিট স্ট্রোকের প্রাথমিক লক্ষনগুলো হলো মাথাব্যথা, ত্বক রক্তবর্ণ ধারন করা, ক্লান্ত হয়ে পড়া, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, মাথা ঘুরতে থাকা এবং মাংসপেশিতে ব্যথা ইত্যাদি।
তাৎক্ষনিক চিকিৎসা না নিলে আক্রান্ত ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। হৃদযন্ত্র বিকল হলে রক্তচাপ কমতে থাকে। ফুসফুসের ওপর চাপ পড়ায় শ্বাস-প্রশ্বাস কমে যায়, কিডনি কাজ না করায় প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়।
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায়ঃ
১. সারা দিনই একটু পর পর প্রচুর পানি পান করুন। প্রচণ্ড গরমে প্রতিদিন তিন লিটারেরও বেশি পানি পান করতে হবে।
২. রোদ ও গরম যতটা সম্ভব পরিহার করুন।
৩. ঢোলা ও হালকা রঙের সুতির পোশাক পরিধান করেন। এমন পোশাক পরেন, যার ভেতর দিয়ে সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে। কালো কাপড় পরিধান থেকে বিরত থাকুন। সাদা পোষাক বেশি আরামদায়ক হবে।
৪. দিনে কয়েকবার গোসল করুন, কিংবা ভেজা কাপড় বা নরম তোয়ালে দিয়ে গা-হাত-পা মুছুন বেশ কয়েকবার।
৫. তীব্র রোদে বাইরে যেতে হলে মাথায় অবশ্যই গোল হ্যাট ব্যবহার করুন। ছাতা ব্যবহার করুন। চোখে ব্যবহার করতে পারেন সানগ্লাস।
৬. লক্ষণ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হোন। প্রাথমিক চিকিৎসা নিন।
৭. প্রস্রাবের রং খেয়াল করুন। প্রসাব গাঢ় রঙের হলে আরো বেশি করে পানি, স্যালাইন, গ্লুকোজ, সরবত বা ফলের রস খান।
হিট স্ট্রোক হলে করণীয়ঃ
১. গরমে ঘামের সঙ্গে প্রচুর পরিমান পানি ও লবণ শরীর থেকে বের হয়ে যায়। তাই রোগীকে পর্যাপ্ত পানি পান করাতে হবে। লবণযুক্ত পানীয় যেমন খাবার স্যালাইন, ফলের রস, জুস ইত্যাদি পান করাতে হবে।
২. রোগীকে ঠাণ্ডা পরিবেশে রাখতে হবে। ফ্যান/এসি পাওয়া না গেলে হাত পাখা দিয়ে জোরে জোরে বাতাস করতে হবে।
৩. শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য ঠাণ্ডা পানি দিয়ে পুরো শরীর ভিজিয়ে গোসল করতে হবে।
৪. রোগীর অবস্থা সঙ্গিন হলে যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে।
সুত্রঃ ইন্টারনেট