সুনামগঞ্জ জেলার সবচেয়ে দূর্গম পশ্চাৎপদ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এলাকা হচ্ছে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ। স্বাধীনতা পরবর্তী ৪০ বছর অতিবাহিত হলেও এখানে আজো কোন সরকারী আধূনিক হাসপাতাল গড়ে না উঠায় উপজেলার প্রায় দুই লাখ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে,বিভিন্ন সরকারের সময় শিক্ষা,স্বাস্থ্য,বাসস্থান ও যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হলেও এ অঞ্চলের মানুষের প্রতি সব সময়ই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সরকার ছিলেন উদাসীন। এখানে যোগযোগ ব্যবস্থা ও আধুনিক হাসপাতাল না থাকায় রোগ নিরাময়ের জন্য শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের নিয়ে প্রায় সময়ই সাধারণ মানুষকে বিপাকে পড়তে দেখা যায়। নবসৃষ্ট এ উপজেলায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ায় বিশাল জনগোষ্টি আজো অন্ধকারে নিমজ্জিত। বিবিধ সমস্যার যাতাকলে পিষ্ঠ এ অঞ্চলের মানুষের করুন আর্তনাদ কোন সরকারের কানে এখনো পৌছায়নি।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের ১৫৫টি গ্রাম নিয়ে অবস্থান হলেও এখানকার মোট জন সংখ্যা প্রায় দুই লাখ। এখানে হাতে গোনা ৫/৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র থাকলেও চিকিৎসার যন্ত্রপাতি,ডাক্তার,নার্স সহ প্রয়োজনীয় ঔষধ পত্র ও লোকবল সংকটের কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছে। উপজেলার শতকরা ৮৫ ভাগ লোক নিম্ন আয়ের কৃষক,শ্রমজীবি এবং কৃষি জমির উপর নির্ভশীল। তাদের আয়ের একটি বিরাট অংশ ব্যয় করতে হচ্ছে চিকিৎসা খাতে। সরকারী কোন হাসপাতাল না থাকায় এবং অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে মুমূর্ষ রোগীদের নিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় যানবাহন,নৌকা,রিক্সা অথবা ৩/৪ঘন্টা পায়ে হেটে ৩০/৩৫ কিলোমিটার দুরে সুনামগঞ্জ জেলা শহরের সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। এদিকে কোন গর্ভবতী ও জটিল রোগীকে সিলেট নিয়ে যেতে সময় অপচয়ের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা ব্যয় বহুল হয়ে পড়ে। ফলে অনেক রোগী সিলেটে পৌছার পূর্বেই অকালে মৃত্যুমুখে পতিত হন।
সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এম এ মান্নান জানান, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় শীঘ্রই একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে এবং ইতিমধ্যে হাসপাতল নিমার্ণের জায়গা একুয়ার করা হয়েছে।
ইউনাইটেড/নিউজ ২৪ ডট কম/এম এ কাসেম/সুনামগঞ্জ