খোরশেদ আলম বাবুল, শরীয়তপুর প্রতিনিধি :: মঙ্গলবার ভোর থেকে আকাশ মেঘলা ছিল। সকাল ৭টার পরে শরীয়তপুরে হালকা বৃষ্টিপাত হয়। এই বৃষ্টি প্রকৃতির জন্য আশির্বাদ হলেও শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের চলাচলকারীদের জনজীবন পড়ে চড়ম ভোগান্তীতে। কাদা পানিতে জেলার প্রধান প্রধান সড়ক গুলো হয়ে যায় একাকার। জনজীবন ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ইট ভাটায় মটি সরবরাহকারী গাড়ি থেকে প্রতিদিন মাটি পড়ে দীর্ঘ দিনে এই অবস্থা হয়েছে বলে এলাকাবাসীর দাবী। সড়কগুলো সচল করতে পুলিশ, ফায়ার সর্ভিস ও ইট ভাটা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করলেও ইতোমধ্যে ভোগান্তীর ৫ ঘন্টা অতিবাহিত হয়ে যায়।
পালং থানা সূত্র জানায়, ইট ভাটার মাটি বহন কালে রাস্তায় মাটি পড়ে। সকালে বৃষ্টির পরে পুরো রাস্তা কর্দমাক্ত হয়ে জনজীবনে ভোগান্তি শুরু হয়। সকালেই তিনটি গড়ি রাস্তা থেকে নিচে পড়ে যায়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ফায়ার সার্ভিস, ইটভাটার মালিক-শ্রমিকদের ৪ ঘন্টার প্রচেষ্টায় রাস্তা থেকে কাদা সড়াতে সক্ষম হয়। দুপুর ১২টার পর থেকে জনজীবন স্বাভাবিক হয়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার কোটাপাড়া, ডোমসার ও নড়িয়া উপজেলার নশাসন এলাকার শরীয়তপুর-ঢাকা সড়ক কাদাপানিতে একাকার হয়ে গেছে। সড়কে যান চালাচলতো দূরে থাক পা-টেকানোর উপায় নাই। বাধ্য হয়ে যারা ওই সড়কে পাড়ি জমায় তাদের অনেকেই গন্তব্যে পৌঁছতে পারে নাই। শুরুতেই বা পথিমধ্যে চিৎপটাং হয়ে পড়ে গেছে। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে ইট ভাটা মালিক সমিতিকে দিয়ে কাদা সরিয়ে রাস্তা চলাচলের উপযোগেী করার চেষ্টা চালায়। ইট ভাটা মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ অসংখ্যক শ্রমিক লাগিয়ে কাঠ দিয়ে কাদা সরিয়ে নেয়। পরে একাদিক দমকল বসিয়ে রাস্তা ধুয়ে ফেলে। কোথাও আবার কাদার উপর বালু দিয়ে পিচ্ছিল ভাব দুর করে রাস্তা সচল করেছে। দুপুর ১২টার পর থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে জনজীবন।
ইট ভাটা মালিক সমিতির সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা মাদবর বলেন, বৃষ্টি পরবর্তী রাস্তায় কাদা হয়। প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরাও শ্রমিক লাগিয়ে রাস্তার কাদা সরাতে সক্ষম হই। এখন জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে। মাটি বহনকালে পরবর্তীতে যেন রাস্তায় মাটি না পড়ে সে দিকে খেয়াল রাখা হবে।
পালং মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, জনজীবন ও যানবাহন ভোগান্তী চড়মে পৌঁছে যায়। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, ইটভাটার মালিক ও শ্রমিকের সহায়তায় কাদা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এখন যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।