বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক এ.কে.এম নাজির আহমেদ ও মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনের এমপি এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদসহ ৭ জামায়াত নেতাকে রোববার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জামিনের মেয়াদ শেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর তাদেরকে জেল-জাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
বাকি ৫ জামায়াত নেতা হলেন, রফিউদ্দিন, এটিএম মাসুদ, রফিকুন্নবী, আবদুল মান্নান এবং আব্দুর রহমান মুসা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দান ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের পৃথক দুটি মামলায় আত্মসমর্পন করলে আদালত তাদের জামিন না-মঞ্জুর করেন।
রোববার জামায়াতের এই সাত নেতা উচাদালতের নির্দেশে রমনা ও পলন থানার পৃথক দুটি মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান। ঢাকার রমনা থানার মামলায় সংশ্লিষ্ট মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান ও পল্টন থানার মামলায় সংশিস্নষ্ট ম্যাজিষ্ট্রেট কেশব রায় চৌধুরী শুনানি শেষে তাদের জামিন না দিয়ে জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, পলন ও রমনা থানার পৃথক দুটি মামলায় আসামিদেরকে উচ আদালত ছয় সপ্তাহের জন্য জামিন দেন। ৩০ নভেম্বর সিএমএম আদালত থেকে জামিন পাবার পর থেকে আসামিরা নিয়মিত হাজিরা দিয়ে আসছেন। তারা জামিনের কোনো শর্ত ভাঙেননি। ছয় সপ্তাহের জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তারা আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চান।
রোববার রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। আদালত তাৎক্ষণিকভাবে আদেশ না দিয়ে বলেন, পরে আদেশ দেয়া হবে। কিন্তু দীর্ঘ দেড় ঘণা পর আসামিদের জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/কামাল আজাদ/কক্সবাজার