হাটহাজারী উপজেলার সরকারহাট ভুমি অফিসের সহকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগসহ সেবা ভোগকারীদের হয়রানি অন- নেই।
জানা যায়, জমির নামজারী খতিয়ান সৃজন করে দিয়ে এলাকায় জমি সংক্রান- বিরোধ মামলা মোকাদ্দমা বৃদ্ধি করে দিচ্ছে।প্রতি নিয়ত সংঘাত সংঘর্ষের পিছনে অসাধু এ সব দুর্নীতিবাজদের বিতর্কিত অবস’ানই অনেকাংশেই দায়ী বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল। উপজেলার সরকারহাট ভুমি অফিসটি বহু বছর ধরে দালালদের হাতে জিম্মি হয়ে গেছে। ভুমি অফিসের কয়েকজন সহকারী এই দুর্নীতির পেছনে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা কামিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ১/১১ সময় তারা ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। দালাল ও সহকারী তহশিলদারদের কথা ছাড়া সরকারহাট ভুমি অফিসের ফাইল,কাগজ পত্র নড়ে না। এদের মাধ্যামে দেন দরবার করিয়ে অফিসের সহকারীরা কাজ করে থাকে।
ভোক্তভোগিরা বলেন, নিরাপদে মোটা অংকের টাকা আদায় করার জন্য মুলত দালাল সেন্ডিকেটের মাধ্যামে সরকাহাট ভুমি অফিস এ সব করছে। অনেকেই অভিযোগ করেন ছোট কাজ করতে গিয়ে তারা মোটা অংকের অর্থ দাবী করে থাকে। এ সব অর্থ দিতে না পারলে তারা কোন কাজ করে না। ভুমি অফিসের সহকারীরা যে সরকার আসে তাদের লোকজনের মাধ্যমে এ সব অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে সরকারী তারা একটি সিন্ডিকেট করে লুটপাট করে সাধারণ মানুষের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সরকারহাট ভুমি অফিরে নানা অনিয়মের কারনে সাধারণ মানুষ নিঃস্ব হতে চলেছে। অবৈধ লেনদেনকে ঘিরে এখানে রয়েছে একটি শক্তিশালী জালিয়াতি চক্র,কর্মচারী-দালাল সিন্ডিকেট। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ হস’ক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার সচেতন মহল।
মোহাম্মদ হোসেন, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম)