চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার অর্ধ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনের সড়কে গতিরোধক না থাকায় যানবাহনের বেপরোয়া চলাচলের কারনে মারাত্নক ঝুঁকি নিয়েই সড়ক পারাপার হচেছ কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস’ান মহাসড়ক ও উপজেলা সদরের প্রধান সড়কের সাথে লাগানো। আর প্রবেশের মূল দরজাও সড়কের সাথে লাগিয়ে নির্মাণ করার কারণে শিক্ষার্থীদের কমবেশী দূর্ঘটনায় পড়তে হয় সব সময়। তবে এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ বলছে ব্যবস’া গ্রহন করা হচ্ছে। কবে ব্যবস’া গ্রহন করা হবে তা জানা নেই।
হাটহাজারী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক শাহ আলম বলেন, বহুবার প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি একটি সপ্রীড ব্রেকার দেওয়ার জন্য। স্কুলের সামনে রাস-া পারাপার করতে গিয়ে গত ৫ বছরে কম হলেও অর্ধশতাধিক ছাত্র/ছাত্রী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। চালকরা বেপরোয়া গাড়ি চালানো ও অসতর্কতার কারনে এ সব দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন নিশ্চুপ ভুমিকা পালন করে আসছে। হাটহাজারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী কুলসুমাসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা জানান, চালকেরা বিদ্যালয়ের সামনে আসলেও গাড়ির গতি কমায় না। তাই তারাহুড়ো করে সড়ক পার হতে গিয়ে প্রায়শই কমবেশী দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। হাটহাজারী পার্বতী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র পান- চৌধুরী বলেন,আমাদের ক্লাসের সময় উচ্চ শব্দে হাইড্রোলিক হর্ণ বাজিয়ে আমাদের লেখা পড়া বিঘ্নিত ঘটার পাশাপাশি ছুটির সময় রাস-ায় এসে দাড়িঁয়ে থাকতে হয় গাড়ি চালকদের গতিরোধের কারনে। বিশেষ করে বিদ্যালয়ে উপসি’তি ও ছুটির সময় সড়ক পার হতে গিয়ে মারাত্নক ঝুঁকি নিতে হচেছ আমাদের।
সরেজমিন দেখা গেছে, চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি ব্যস-তম মহাসড়কে হাটহাজারী কলেজ গেইট,উপজেলা গেইট,করিয়ার দিঘী পাড় প্রাথমিক বিদ্যালয় সম্মুখে,চৌধুরীহাটস’ ফতেয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,মির্জাপুর মডেল সরকারি প্রাথমিকসহ উপজেলা অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্টানের সম্মুখে সড়কে কোনো সপ্রীড ব্রেকার নাই যার কারনে দুর্ঘটনা ঘটছে। তবে সব চেয়ে বেশি গুরুত্বপুর্ণ হাটহাজারী উপজেলা সম্মুখে জরুরী ভিত্তিতে সপ্রীড ব্রেকারের প্রয়োজন বলে জানান এখানকার সচেতন লোকজন।
হাটহাজারী পার্বতী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আতাউর রহমান বলেন,দীর্ঘ বহু বছর থেকে হাটহাজারী কলেজ গেইট এলাকায় সপ্রীড ব্রেকার না থাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্র/ছাত্রীরা হতাহত হচ্ছে। গাড়ি গতিরোধ কারনে এ সব দুর্ঘটনা মুল কারন বলে তিনি জানান। হাটহাজারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আহমেদ জানান,সপ্রীড ব্রেকার না থাকায় আমার স্কুলে ছাত্রীরা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন গাড়ি গতিরোধের কারনে। তিনি দাবী করেন রাস-ার পাশে সব কয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে সামনে গতিরোধক নির্মাণ করা গেলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপসি’তি নিরাপদ হবে এবং দূর্ঘটনা হ্রাস পাবে।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেখ ফরিদ আহমেদ শিক্ষার্থীদের মারাত্নক ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পারাপারের কথা স্বীকার করে বলেন, গতিরোধক নির্মাণ করা গেলে ঝুঁকি হ্রাস পাবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানানো হবে আর এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস’া গ্রহন করা হবে।
মোহাম্মদ হোসেন, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম)