চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে অস্বাভাবিক হারে বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি হওয়ায় হিমমিম খেতে হচ্ছে নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের লোকজন। নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে বাড়ি ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে মালিকরা। মফস্বল এলাকায় উচ্চহারে বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি শহরকেও হার মানিয়েছে। ভাড়াটে আইন লংঙ্গন করে বাড়ি মালিকরা যখন তখন ভাড়া বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে ভাড়াটিয়াদের অভিযোগ। বাড়ি কাঠামো ও ধরন অনুযায়ী ডাবল ও সিংগেল বেডের প্রতিটি বাসা ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ভাড়াটিয়াদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দিকে নজর না দিয়ে বাড়ির মালিকরা তাদের ইচ্ছেমতো ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি বছর শেষ হতে না হতে প্রতিটা ফ্ল্যাটের ভাড়া দ্বিগুন বাড়িয়ে দিয়েছে। চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন অফিস আদালত কলকারখানায় কর্মরত বহু লোকজন হাটহাজারীতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল। প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক পরিবার বসবাস করে আসছিল এখানে। তাদের মতে যোগাযোগ সহজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে তাদের ছেলে মেয়েরা পড়াশুনার সুযোগ সুবিধা থাকায় মুল উদ্যোশ্য এখানে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করা।
এ ছাড়াও সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্টানে ও লোক চাকুরী করার সুবাদে ভাড়া বাড়িতে প্রতিনিয়ত অবস্থান করছে। বিভিন্ন ভাবে জীবিকা নির্বাহ করছে ও বহু লোক। এ সুযোগে হাটহাজারীর জমির মূল্য যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি গড়ে উঠছে প্রতিনিয়ত বহু পাকা-সেমিপাকা এবং বহুতল ভবন। সিডিএ অনুমোদিত বর্তমানে দুই শতাধিক বহুতল ভবন ও নির্মাণ করা হচ্ছে উপজেলার সিডিএ আওতাধীন এলাকা গুলোতে।
অভিযোগ উঠেছে বাড়ির মালিকরা ইচ্ছে কৃত ভাবে ভাড়া বাড়িয়ে নিলেও সে সব বাসায় রয়েছে পানি,বিদ্যুৎ,ঘরের ভিতর পানি চুপসে,দেয়ালের চুনকামসহ নানা সমস্য সমাধান না দিলেও প্রতি মাসে বাড়িয়ে নিচ্ছে বাড়ি ভাড়া। আলো বাতাসের সংস্পর্শে থাকাতো দুরের কথা,বাড়ির অধিকাংশই গরমকালে গরম বর্ষাকালে বৃষ্টির পানিতে দেয়াল চুপসে যায়। প্রতিটা কক্ষ যেন গুদাম ঘর। এ অবস্থায় মালিকরা ভাড়াটে আইন লংঘন করে বছরে ২/৩ বার ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। প্রতি বছর জানুয়ারী মাস থেকে ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়ার কারনকি জানতে চাইলে নাম না জানার সত্বেও এক ঘরের মালিক জানান,সব কিছু দাম বেড়ে যাওয়ার কারনে ভাড়া বাড়িয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
হাটহাজারীতে গ্যাস সুবিধা নেই,ঘন ঘন লোডশেডিং-এর ফলে প্রতিটি বাসায় বিদ্যুৎ ও পানি সমস্য প্রকট। তার পরও জীবিকার টানে মালিকদের হয়রানির মধ্যে থাকতে হচ্ছে ভাড়াটিয়াদেরকে। ভাড়াটিয়ারা জানান,মালিকরা রশিদ ছাড়া ভাড়া আদায় করে। প্রতিমাসের ভাড়া মাসের ভাড়া মাসের ১-৬ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়। না দিলে মালিকরা বিভিন্ন অশোভন আচারণ শুনতে হয়। ভাড়াটিয়ারা অধিকাংশ এ প্রতিবেদককে জানান,তাদের আয়ের সব টাকা ভাসা ভাড়ায় ব্যয় করতে হয়। অন্যান্য খরচাদি সামলানো কষ্টকর হয়ে পড়ছে। তারা আরো জানান,বাসার ভিতরের বাইরে পরিবেশ স্বাস্থ্যা সম্মত নয়, এমন বাসা গুলো বাড়া বাড়িয়ে দিচ্ছে মালিকরা। অনেক বাসায় পানি ব্যবহার অনুপযোগী। অনেকেই ছেলে মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্টানের যোগাযোগ সুবিধার জন্য বাসা ভাড়া নিচ্ছেন। এ অবস্থায় ভাড়া বৃদ্ধি কোন মতই যুক্তি সঙ্গত নয়। সচেতন মহল এ ধরনের বাসা ভাড়া অস্বাভাবিক হারে ভাড়া বৃদ্ধি বন্ধের দাবি জানান। তারা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/মোহাম্মদ হোসেন/হাটহাজারী