দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও কোচিং সেন্টারের সাথে পুস্তক ব্যবসায়িরা চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ে তাদের নির্দ্রিষ্ট লাইব্রেরির মাধ্যমে গ্রামার ও গাইড-নোট বইয়ের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
মাধ্যমিক পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণীর বাংলা ব্যাকারণ ও ইংরেজী গ্রামার বইয়ের দাম ৩শ থেকে ৪শ টাকা এবং পাঞ্জেরী, দিগন্ত, কম্পিউটার, লেকচার, জুপিটার, আদিল এসব গাইড বই সাড়ে ৪শ থেকে ৬শ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের সাথে জড়িত হওয়া শিক্ষকরা এসব অস্বাভাবিক মূল্যের গ্রামার ও গাইড বই ক্রয় করতে ছাত্র-ছাত্রীদের বাধ্য করছে। গরীব ছাত্র-ছাত্রীরা যারা অর্থের অভাবে এসব বই ক্রয় করতে অক্ষম তাদেরকে ক্লাসে বই নিয়ে না যাওয়ায় ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া এবং বিভিন্ন ভাবে অপমান করে ক্লাসরুম থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে বলে ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবক অভিযোগ করেছেন।
দরিদ্র জনগোষ্ঠির সন্তানরা যাতে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয় এবং আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত সে লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ব্যাপক উদ্যোগ নিয়ে সময় মত বিনা মূল্যে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বই বিতরণ করেছে। সরকারের এই মহান উদ্যোগ কাজে লাগিয়ে অসাধু পুসত্মক ব্যবসায়ীরা চড়া মূল্যে নিন্মমানের গ্রামার ও গাইড বইয়ের রমরমা ব্যবসা করছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে টার্গেট করে ওইসব পাঠ্য বই বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের তালিকা অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান, বিভিন্ন বই প্রকাশনার প্রতিনিধি এবং স্থানীয় পুসত্মক ব্যবসায়ীরা নভেম্বর মাসে এসে স্কুলগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের নামের তালিকা নিয়ে যান এবং তাদের বাচ্চাদের গাইড বই কেনার জন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ১০ থেকে ১২ হাজার আর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ১৫থেকে ২০ হাজার টাকা আগাম দিয়েছে বিভিন্ন লাইব্রেরী মালিকরা। এসব অনুমোদিত বই অসাধু শিক্ষা সিন্ডিকেটের সহযোগীতায় প্রকাশ্যে বিক্রি করছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিভিন্ন লাইব্রেরীগুলোতে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত নিষিদ্ধ নোট-গাইডসহ এনসিবির অনুমোদন বিহীন সহায়ক পাঠ্যপুস্তক মজুদ করা হয়েছে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/মাহবুব রহমান/হিলি