গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন, হিলি প্রতিনিধি :: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর হিসেবে পরিচিত উত্তরের জনপদ দিনাজপুর জেলার হিলি স্থলবন্দর। এই বন্দরের সাথে ভারত এবং বাংলাদেশের সড়ক ও রেল যোগাযোগ ভালো থাকায় অল্প সময় পরিচিতি লাভ করে সারাদেশে। সম্প্রতি এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পাথর আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে সেই সাথে বন্দর এলাকায় কমেছে আমদানিকৃত পাথরের দাম। বিশেষ করে দেশের অভ্যন্তরে সরকারের চলমান বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে ব্যবৃহত হচ্ছে এসব আমদানি করা পাথর।

আর এসব পাকুর জাতের পাথর রেল ও সড়ক পথে আনা হচ্ছে ভারতের ঝাড়খান রাজ্য থেকে। দুইমুখী আমদানি করায় বন্দরে বেড়েছে পাথরের আমদানি। বেড়েছে বেচা-কেনা ,কমেছে দাম,সেই সাথে বাড়ছে সরকারের রাজস্ব । বেচা-কেনা বাড়ায় বন্দর এলাকায় ব্যবসায়ীদের মাঝে কর্মপ্রাণঞ্চলতা ফিরে এসেছে তেমনি স্বস্তি ফিরেছে শ্রমিকদের মাঝে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,গেলো এক মাস আগে যে পাথর হিলি বন্দরে বিক্রি হয়েছে প্রতি টনে ৩ হাজার ৯শ থেকে ৪ হাজার টাকা দরে।সেই পাথর এখন প্রতি টনে ৭শ টাকা কমে প্রতি টন বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২শ থেকে ৩ হাজার ৩শ টাকা দরে।

হিলি স্থলবন্দরের পাথর আমদানিকারক পলাশ জানান, দেশে পাথরের চাহিদা বাড়ায় এখন রেল ও সড়ক পথে আমরা পাথর আমদানি করছি।সম্প্রতি পাথর আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমেছে। আর দাম কমে যাওয়ায় ক্রেতাদের সমাগম বৃদ্ধি পেয়েছে সেই সাথে বেড়েছে বেচা-কেনা।এই ধারা অব্যহৃত থাকলে আমরা করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো আশা করছি।

কথা হয় কয়েকজন শ্রমিকের সাথে তারা বলেন,সড়ক পথের সাথে রেল পথে পাথর আমদানি হওয়ায় আমাদের কাজ বেড়েছে। আগে আমরা প্রতিদিন ১শ থেকে ১শ ৫০ টাকা মুজুরী পেলেও এখন তার থেকে বেশি পাচ্ছি। আগে চেয়ে আমাদের সংসার ভালো চলছে।

হিলি কাষ্টমসের সহকারী কমিশনার আব্দুল হান্নান জানান,স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে।তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পাথরের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে পাশাপাশি আমাদের রাজস্ব আদায় বেড়েছে। গেলো এক মাসে ভারত থেকে ৫৭ হাজার মেট্রিক টন পাথর আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে যেখান থেকে আমাদের রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৫০ লক্ষ ১০ হাজার টাকা।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here