ড. নাজনীন আহমেদ

স্টাফ রিপোর্টার ::  বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ গবেষক ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ করোনাভাইরাস মোকাবেলা প্রসঙ্গে বলেছেন, জনগনের সেবায় যোগ দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবকরা। কিন্তু এবারের দুর্যোগটা এমন যে, স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা বেশি হওয়াটাও স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াবে ।তাই বেশিরভাগ মানুষকে ঘরে থেকে শক্তি ধরে রাখতে হবে।

ড. নাজনীন আহমেদ আজ শনিবার (১১ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি এ অভিমত প্রকাশ করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তিনি আরো বলেন, ফেসবুক, টেলিভিশন, সংবাদপত্র, অনলাইন সব জায়গায় কেবল মৃত্যু-হতাশা । করোনা ভাইরাস এর বিরুদ্ধে জয়ী হতে হলে সবাইকে ঘরে থাকতে হবে এবং শরীরের শক্তি ধরে রাখতে হবে। তবে যারা জরুরী মাধ্যমে আছেন তাদেরকে বাইরে যেতেই হচ্ছে। এই মুহূর্তে জাতির প্রতি আমাদের সবচেয়ে বড় অবদান হবে আমরা যদি নিজেদের সুস্থতা নিজেরা রাখি এবং কোনভাবেই দেশের সীমিত স্বাস্থ্যসেবায় চাপ তৈরি না করি; সেটা করোনা দ্বারা আক্রান্ত হয়েই হোক বা অন্য কোন মানসিক কিংবা শারীরিক অসুস্থতা দিয়ে হোক। আমরা যত বেশি সংখ্যক মানুষ সুস্থ থাকবো, ততই বেশি আমাদের সীমিত স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ দিয়ে মানুষকে বাঁচাতে পারবো।

তিনি আরো উল্লেখ করে বলেন, এই রোগকে প্রতিহত করতে হলে ঘরে থাকতে হবে, ঘরে থেকে যা করতে ভালো লাগে তাই করে নিজের মধ্যে শক্তিটাকে ধারণ করতে হবে ।অবশ্যই তার পাশাপাশি যতটা সম্ভব সাধারণ মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে ।

ড. নাজনীন আহমেদ আরো বলেন, এই সময়ে অনেক হতাশার পোস্টের মাঝে যারা যারা আনন্দের পোস্ট দিচ্ছেন, সেটাও কিন্তু এক ধরনের জনসেবা। সবকিছুকে সবসময় নেতিবাচকভাবে দেখার সময় এটা নয়। আমার কান্নায় যদি আরেকজনের কষ্ট কমতো, তাহলে অবশ্যই কানতাম বুক ভরে । বরং আমার কিছু ভালো পোস্টে কিছু মানুষের যদি উপকার হয় সেটাই লাভ। এই মুহূর্তে রান্নাবান্না, জামা বিক্রি, নাচ-গান, যার যেটা মন চায় করে সুস্থ থাকাটা জরুরী। কারো যদি মনে হয় এই মুহূর্তে হতাশায় থাকতেই তার ভাল লাগবে, সে সেটা করতে পা্রে। কিন্তু অন্যের হাসিখুশি থাকার স্ট্র্যাটেজি নিয়ে নেতিবাচক মতামত দেয়াটা ঠিক না। বাঁচুক না সবাই যে যার মতো করে। তবে সাহায্যের হাত যেন থাকে সাধারণ মানুষের প্রতি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here