জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :: লক্ষ্মীপুরে স্বামীর যৌতুকের মামলায় স্ত্রীকে সাজা দিয়েছে আদালত। স্বামী ওয়াহেদ আলীর কাছে যৌতুক দাবী করায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে মামলা দায়ের করলে ওই মামলায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে এক বছরের কারাদন্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানার রায় প্রদান করেন আদালত।

সোমবার লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বিচারিক আদালত-৩ এর বিচারক নুসরাত জামান এ রায় প্রদান করেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম জুয়েল রায়ের বিষয়টি নিশ্চত করে বলেন, এ সময় আদালতে স্বামী-স্ত্রী দুজনে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, চার বছর আগে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের সফি উল্যাহ ভূঁইয়ার কন্যা আয়েশা আক্তার মিতুর সাথে একই ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের সৈয়দ আহম্মদের পুত্র ওয়াহেদ আলীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর মিতু লেখা-পড়া করার ইচ্ছে করায় তাকে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজে ভর্তি করে দেয় স্বামী ওয়াহেদ আলী। এরপর থেকে মিতুর বেপরোয়া চলাফেরা দেখে স্বামী বাঁধা নিষেধ করলেও তা মানতনা মিতু। গত ২০১৮ সলের ৮ই মে ওয়াহেদ আলীর দেয়া স্বর্ণালংকার ও ঘরে রক্ষিত নগদ টাকা নিয়ে মিতু স্বামীর অজান্তে স্বামীর বাড়ি থেকে পিতার বাড়ি চলে যায়।

পরে এ ঘটনায় স্থানীয় ভাবে শালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শালিশে স্ত্রী আয়েশা আক্তার মিতু স্বামীর কাছে নগদ ৫ লক্ষ টাকা ও তার নামে ১০ শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ার দাবী করেন। উক্ত টাকা ও জমি না দিলে মিতু তার স্বামীর কাছে আর আসবে না এবং স্বামীর সংসার করবে না বলে জানায়।

এ ঘটনায় ওয়াহেদ আলী বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ১৬ই মে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৪১৫।

এ মামলায় দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত ওয়াহেদ আলীর স্ত্রী আয়েশা আক্তার মিতুকে দোষী সাব্যস্ত করে এক বছর কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩মাসের কারাদন্ডের রায় প্রদান করেন।

রায়ে সন্তোস প্রকাশ করে ওয়াহেদ আলী বলেন, বিয়ের পর থেকে আমি এই স্ত্রী’র দ্বারা চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। সে আমার নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। পরে আমার কাছে যৌতুক দাবী করে। আমি আদালতে তার বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করি। মামলার রায়ে আদালতের মাধ্যমে আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here