
পটুয়াখালীর গলাচিপায় স্ত্রীর দাবিতে সন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করার খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, পাশপাশি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সাথী আক্তার এবং রবিউল। এরপর হয় মন দেওয়া-নেওয়া। প্রেম যখন তুঙ্গে, তখন তারা সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। যেই ভাবনা সেই কাজ। ঢাকা শহরের একটি কাজি অফিসে গিয়ে ৬০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে করেন তারা।
বিয়ের পরে মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ করে তাদের ঘরে। এরপর মেয়েটি তার সামাজিক স্বীকৃতির জন্য স্বামীকে বলেন। এতেই ঘটে বিপত্তি। স্ত্রী-সন্তানকে সামাজিক স্বীকৃতি দিতে রাজি নয় ছেলেটি। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তার স্বামীর ঘরে বউ আছে। অবশেষে বাধ্য হয়ে নিজের স্বীকৃতি পেতে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান শুরু করেন মেয়েটি। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার ৬ নং ডাকুয়া ইউনিয়নে পূর্ব আটখালী গ্রামে। অভিযুক্ত স্বামী রবিউল পূর্ব আটখালী গ্রামের মগরম আলীর ছেলে। এ বিষয়ে জানতে রবিউলের মোবাইলে একাধিকবার কল করলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায় এবং তিনি ও তার বাবা এই মেয়েকে দেখে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. উজ্জল মিয়াকে মুঠো ফোনে কল দিলে তিনি বলেন, আমি শুনেছি যে একটি মেয়ে বাচ্চাসহ সিকদার বাড়িতে এসেছে। মগরম সিকদারের ছেলে রবিউল একাধিক বিয়ে করেছে। ছেলেটি কিছুদিন আগে ও একটি বিয়ে করেছে। এ নিয়ে মোট পাঁচটি বিয়ে করে ঐ ছেলে (রবিউল)।
অবস্থানরত মেয়েটি বলেন, আমার এবং আমার সন্তানের স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত এখান থেকে যাব না। প্রয়োজনে গলায় ফাঁসি দিয়ে মারা যাবো। ডাকুয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ রায় বলেন, পূর্ব আটখালী গ্রামের এক ছেলে আমাকে ফোন করে জানান যে সিকদার বাড়ি সন্তানসহ একটি মেয়ে উঠেছে। ছেলে পক্ষ থেকে আমাকে কোনো কিছু জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে গলাচিপার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েণ জানান, বিষয়টি আমরা জেনেছি। সমাজসেবা অফিসার এবং স্থানীয় চেয়ারমান সহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে আমরা বসে এটা দেখবো।