প্যারিস :: ফ্রান্সের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, উপার্জনের জন্য জোর করে স্ত্রীকে পরপুরুষের সঙ্গে শয্যায় যেধে বাধ্য করার। ৫৪ বছরের ওই ব্যাক্তির নাম আইনি জটিলতার কারণে প্রকাশ করা হয়নি। এই জঘন্য কাজ করে ওই ব্যক্তি প্রায় ১,১৫,০০০ পাউন্ড উপার্জন করেছে বলে খবরে প্রকাশ। অন্তত ২৭০০ জন পুরুষের লালসার শিকার হয়েছেন অভিযুক্ত ব্যক্তির স্ত্রী।
প্যারিসের এক দৈনিকে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি তার ৪৬ বছরের স্ত্রীকে কার্যত যৌনকর্মীতে পরিণত করে বলে অভিযোগ। চারটি আলাদা আলাদা ওয়েবসাইটে স্ত্রীয়ের অর্ধনগ্ন ছবি প্রকাশ করে ‘কাস্টমার’দের আকর্ষণ করত ওই ব্যক্তি। পরে যোগাযোগ রক্ষা করতে ব্যবহার করা হত ই-মেল ও এসএমএস।
অভিযুক্ত ব্যক্তি ও আক্রান্ত মহিলার একটি পাঁচ বছরের শিশু সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ, কাস্টমাররা বাড়িতে এলে ছেলেকে গাড়িতে বন্দী করে রাখত অভিযুক্ত ব্যক্তি।
টানা তিনদিন ধরেও স্ত্রীকে পরপুরুষের সঙ্গে মিলিত হতে বাধ্য করত অভিযুক্ত। ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হলে ডেপুটি প্রসিকিউটর এমমানুয়েল ডুপিক বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি তার পুরুষালী বলের প্রভাবে স্ত্রীকে অন্যের শয্যায় যেতে বাধ্য করত। স্ত্রী একাধিকবার মানা করলেও সে কথায় কান দেয়নি ওই ব্যক্তি।
যদিও এই ঘটনায় ৫৪ বছরের ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি পথে হাঁটেননি তার স্ত্রী। পুলিশই মামলা দায়ের করেছে প্রতিবেশিদের অভিযোগ পেয়ে। ডিসেম্বর মাসে পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত অভিযুক্তকে শ্রীঘরে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।